দর্পণ ডেস্ক : উদ্ধব ঠাকরে তাকে ফোন করেছেন বলে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তার অবসান ঘটিয়ে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা শরদ পাওয়ার বললেন, তিনি এখনও শিবসেনার কাছ থেকে কোনও ফোন পাননি। তবে এদিনও তিনি শিবসেনার হয়েই ব্যাট ধরেছেন।

মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে শিবসেনা ও বিজেপি অনড় থাকায় এখন পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া দূর অস্ত। পাওয়ারার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দিয়েছিলেন, সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিধায়ক জোগাড় করা তাদের কাছে কোনও ব্যাপার নয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় রটে যায়, শরদ পাওয়ারকে ফোন করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তখন দুইয়ে দুইয়ে চার করতে সময় লাগেনি রাজনৈতিক মহলের। তবে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতির কোনও বিন্যাস নিয়ে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তার কোনও কথা হয়নি বলে জানিয়ে দেন শরদ পাওয়ার।

বিজেপি বা শিবসেনাকে তিনি কি সরকার গড়ার জন্য সমর্থন করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে পওয়ার জানিয়ে দেন, জনতা তাকে বিরোধী আসনে বসার নির্দেশ দিয়েছে, সেই নির্দেশ তিনি পালন করবেন।

শিবসেনা যে অর্ধেক মেয়াদ মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইছে তাকে সমর্থন করে শরদ পাওয়ার বলেছিলেন, আগেও সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা শিবসেনার আছে। ১৯৯৫ সালে শিবসেনা-বিজেপি জোটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন শিবসেনার মনোহর জোশী। তাই শিবসেনার এই দাবির মধ্যে তিনি অন্যায্য কিছু দেখছিলেন না। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১০৫টি আসন পেয়েছে বিজেপি। সেখানে ৫৬টি আসন পাওয়া শিবসেনার সঙ্গে ৫০:৫০ রফা সূত্র মানতে রাজি নয় বিজেপি। অর্ধেক মেয়াদ মুখ্যমন্ত্রিত্ব ও মন্ত্রিসভার অর্ধেক পদ ছোট শরিক শিবসেনাকে কোন যুক্তিতে ছেড়ে দেবে বিজেপি? উত্তরে পওয়ার বলেন, “বিজেপি যদি ১০৫টি আসন নিয়ে মহারাষ্ট্রে একক ক্ষমতায় সরকার গড়তে পারে, তা হলে বিজেপির কথায় যুক্তি আছে, সে কথা মানতেই হবে।”

এই সমস্যা মাত্র দশ দিনেই মিটে যাবে বলে তিনি মনে করেছিলেন, এ কথা জানান পাওয়ার। তিনি মনে করেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে হলে বিজেপিকে ঝুঁকতেই হবে।

অযোধ্যা মামলার রায় বার হওয়ার আগে মহারাষ্ট্রে স্থায়ী সরকার তৈরি হয়ে যাওয়া জরুরি বলে মনে করেন পাওয়ার। তিনি বলেন, আমরা জানি আগের বার অযোধ্যা মামলার রায়ের পরে কী হয়েছিল। যদি ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায়ের আগে সরকার গড়া না হয় তা হলে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে চিন্তার কারণ আছে। ওদের উচিত বাচ্চাদের মতো খেলা বন্ধ করা এবং দ্রুত সরকার গড়া।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে তার কথা হয়েছে বলে যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তাও খারিজ করে দিয়েছেন পাওয়ার। তবে ৪ নভেম্বর দিল্লিতে বিরোধীদের যে বৈঠক রয়েছে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর ডাকে, সেখানে যাচ্ছেন পাওয়ার।