দর্পণ ডেস্ক : শর্ত সাপেক্ষে ফরিদপুরকে সিটি করপোরেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিভাগ হলে সেখানে সিটি করপোরেশন করা হবে- এই শর্ত দিয়ে সোমবার (২১ অক্টোবর) ফরিদপুরকে সিটি করপোরেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার)।

ফরিদপুর সিটি করপোরেশন হলে এটি হবে দেশের ১৩তম সিটি করপোরেশন। আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নিকারের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে মন্ত্রিসভার বৈঠকও হয়।

পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভা ও নিকারের সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, এখন থেকে বিভাগীয় শহর ছাড়া আর নতুন করে সিটি করপোরেশন হবে না।

আজকের সভায় নতুন করে সাতটি থানা ও একটি পৌরসভার অনুমোদন দেয়া হয়। নতুন থানাগুলো হবে পদ্মা সেতুর উত্তর পাশে পদ্মা উত্তর এবং পদ্মা সেতুর দক্ষিণ পাশে পদ্মা দক্ষিণ নামে। অন্য থানাগুলোর মধ্যে নোয়াখালীর ভাসানচর, ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া এবং কক্সবাজারের ঈদগাহ। নতুন পৌরসভাটি হবে সিলেটের বিশ্বনাথ। ছাড়া আজকে নিকারের সভায় কয়েকটি পৌরসভার এলাকা সম্প্রসারণ ও সংকোচন করা হয়েছে।

আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নিকারের মিটিংয়ে ফরিদপুর সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরিদপুর সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, মিটিংএ একই সঙ্গে ফরিদপুরকে পদ্মা বিভাগ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পদ্মা বিভাগের হেড কোয়ার্টার হবে ফরিদপুর। একারণে আমার নিজের পক্ষ থেকে এবং ফরিদপুরবাসীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।