সাইফুল্লাহ নাসির, বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত একমাত্র পরিবার আমেনা বেগমকে আবাসন ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন স্থাণীয় ফারুক চৌকিদার। গাছপালা কেঁটে নেওয়ার অভিযোগ।
জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়ের ৫ নং ওয়ার্ডের চলাভাঙ্গা গ্রামে দুঃস্থ ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য একটি আবাসন প্রকল্প (বেরাক) নির্মান করা হয়। এই আবাসনের একটি ঘর সরকারীভাবে বরাদ্ধ পেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা আমেনা বেগম ২ ছেলে ও ৩ মেয়েকে নিয়ে প্রায় এক যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। ঘূর্ণিঝড় “আইলায়” আবাসনটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ক্ষতিগ্রস্থ আবাসনটি আর মেরামত করা হয়নি। বর্তমানে আবাসনটির অবস্থা এতটাই খারাপ যা বসবাসের উপযোগী নয়। এ কারনে আবাসনে বসবাসরত আমেনা বেগম ছাড়া অন্য পরিবারগুলো ঘরগুলো ছেড়ে অন্যাত্র চলে গেছে। আমেনা বেগম সে সময় তার থাকার ঘরটি নিজ উদ্যোগে মেরামত করে সন্তানদের নিয়ে এ আবাসনেই থেকে যায়। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে, বড় ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরী করে। পুত্র সোহেল রিক্সা চালায় ও কন্যা এলমা ও জিদনী প্রাইমারী স্কুলে পড়ে। বর্তমানে ২ কণ্যা ও ১ পুত্র সন্তান নিয়ে এই আবাসনের ঘরেই বসবাস করে স্বামী পরিত্যাক্তা আমেনা বেগম।
স্থাণীয় আফেজ ডাক্তারের পুত্র ফারুক চৌকিদার দাবী অনুযায়ী সরকার আবাসন প্রকল্পটি তাদের রের্কডিয় সম্পত্তিতে তৈরী করছেন। এ কারনে ফারুক চৌকিদার বিভিন্ন সময় আমেনা বেগমকে এ আবাসনের ঘর ছেড়ে অন্যাত্র চলে যাওয়ার হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু আমেনা এ ঘর ছেড়ে কোথাও যেতে রাজি হয় না। এ কারনে আবাসনের পরিত্যাক্ত জায়গায় আমেনার লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেঁটে নিয়ে যায় ফারুক চৌকিদার। গত শনিবারও একটি তেঁতুল গাছ কেঁটে নিয়ে গেছে ফারুক চৌকিদার। এর আগেও সে আমেনার লাগানো অনেকগুলো গাছ কেঁটে নিছে গেছে বলে অভিযোগ করেন আমেনা।
বর্তমানে চলাভাঙ্গা আবাসনের মধ্যে ফারুক চৌকিদার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়েছে। নিজাম গাজী নামে অপর একজন আবাসনের মধ্যে গরুর জন্য খর কুটা দিয়ে (স্থানীয় ভাষায় কুডারকুর) তৈরী করছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আমেনা বেগম বলেন, আমি চলাভাঙ্গা আবাসন প্রকল্পের একটি ঘর সরকারীভাবে বরাদ্ধ পেয়ে আমার ৫ সন্তান নিয়ে এখানে বসবাস করতেছি। বন্যায় আবাসনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এখানে বসবাসরতরা সকলে চলে গেলেও আমি আমার ঘর মেরামত করে এখনো আমার ৩ সন্তান নিয়ে বসবাস করি। স্থাণীয় ফারুক চৌকিদার এ জমি তাদের দাবী করে আমাকে আবাসনের ঘর ছেড়ে অন্যাত্র চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমি অন্যাত্র চলে না যাওয়ায় আমার লাগানো গাছপালা কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে। গত শনিবারও একটি তেঁতুল গাছ কেঁটে নিয়ে গেছে।
অভিযুক্ত ফারুক চৌকিদার আমেনা বেগমকে আবাসন ছাড়ার হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও আবাসনের মধ্যে গাছ লাগানোর কথা স্বীকার করে বলেন, আমেনা বেগমের লাগানো তেঁতুল গাছ আমেনা নিজেই কেঁটেছে আমি কাটি নাই।
আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কেহ আসেনি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেহ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।