গোফরার পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মিতা মন্ডল (১৮) নামে এক
এনজিও কর্মীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে পৌরশহরের
চিংগড়িয়া এলাকার এক ভাড়াটিয়া বাড়ীতে সে আত্মহত্যা করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার
করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি
ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঠ্যাংগামারা সবুজ সংঘ নামে একটি
এনজিও’র ম্যানেজার হিসেবে গৌতম মন্ডল গত তিন মাস আগে কলাপাড়া শাখায়
যোগদান করে। যোগদানের পরে তিনি চিংগড়িয়া এলাকার সুভাস হাওলাদারের বাড়ীর
নিচতলা ভাড়া নেন। এ বাড়ীতে মিতা মন্ডল ও তার স্বামী গৌতম মন্ডল বসবাস করে
আসছেন। সোমবার রাতে স্বামী বাড়ীতে ফিরে দরজা খোলার জন্য সংকেত দিয়ে কোন
সাড়া না পেয়ে ডাকাডাকি করেন এতেও কোন সাড়া না পাওয়ায় দ্বিতীয় তলায়
বসবাসরত বাড়ীর মালিককে খবর দিলে তিনি ভেতর থেকে দরজা ভেঙ্গে ঘরের
বারান্দার আড়ার সাথে মিতার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।

স্বামী গৌতম মণ্ডল জানান, মিতা দিনভর স্বাভাবিকই ছিলেন। সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। একসঙ্গে তাঁরা দুপুরের খাবার খান। এরপর গৌতম বাইরে চলে যান। সন্ধ্যার পর সবার অগোচরে মিতা ঘরের বারান্দার একটি কাঠের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কলাপাড়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক বিপ্লব মিস্ত্রি জানান, গৌতম হাওলাদার বাড়ী খুলনার রূপসায় ও তার স্ত্রী মিতা মন্ডলের বাড়ী গোপালগঞ্জের ড্যান্ডাবাড়ী এলাকায়। গত তিন মাস আগে সামাজিক ভাবেই তাদের বিয়ে হয়েছিল। চাকুরীর সুবাদে গৌতম হাওলাদার তার স্ত্রীকে নিয়ে কলাপাড়ায় আসেন।

কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, স্বামী- স্ত্রীর
মধ্যে মনো-মালিন্য থাকার কারনে মিতা আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিতে পারে। তবে
কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের রির্পোটের পর বলা নিশ্চিত করে
বলা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।