দর্পণ ডেস্ক : ২০২২ নয় ২০২১ সালেই মহাকাশে পাঠানো হবে তিন ভারতীয়কে।বিক্রমের ব্যর্থতা ভুলে গগনযান মিশনে ফিরেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সংস্থাটির চেয়ারম্যান কে সিভান শনিবার এক ঘোষণায় জানিয়েছেন। ২০২১ সালের মধ্যে মহাকাশে প্রথম কোনো ভারতীয়কে পাঠানো গগনযান মিশনের উদ্দেশ্য হলেও, তার আগে অন্তত দু’বার মানবহীন ফ্লাইট মহাকাশে পাঠাবেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
যদিও ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন ২০২২ সালের মধ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত।
সেই রেশ ধরেই পরবর্তী পর্যায়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো ঘোষণা করে, ভারত সাতদিনের জন্য তিনজন নভোচারীকে মহাকাশে পাঠাবে। বিগত এক বছরে ইসরো এ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
আইআইটি ভুবনেশ্বরের অষ্টম কনভোকেশনে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান। এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে প্রথম কোনো ভারতীয় মহাকাশে পাড়ি দেবেন। তিনি মহাকাশে যাবেন আমাদের নিজস্ব তৈরি রকেটেই। এটাই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। ইসরোর প্রত্যেকে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ইসরোর চেয়ারম্যান বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা প্রথম হিউম্যান স্পেসপ্লেন বা মানব মহাকাশ বিমানটি পাঠাব। দ্বিতীয় মানব মহাকাশ বিমানটি যাবে ২০২১ সালে। এই দুটি অভিযানের কোনওটিতেই অবশ্য মহাকাশযানে মানুষ থাকবে না।
যদি ২০২১ সালে ইসরোর এই গগনযান মিশন সফল হয় ভারত হবে চতুর্থ দেশ। আমেরিকা, রাশিয়া, চীন ইতোমধ্যেই এই লক্ষ্য পূরণ করেছে। ইসরোর এই গগনযান মিশনের খরচ আনুমানিক ১০ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে, চাঁদে আজ থেকেই রাত শুরু হওয়ায় চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের আশা শেষ। ১৪ দিনের মিশন লাইফ নিয়েই চাঁদে গিয়েছিল বিক্রম। কিন্তু চাঁদের বুকে নামার কয়েক মুহূর্ত আগে তার সঙ্গে ইসরোর বিজ্ঞানীদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এই এক চান্দ্র দিবসের সময়সীমা পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন। রাত নেমে আসার পর সূর্যালোকের অভাবে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে পারবে না বিক্রম। এ ছাড়া চান্দ্ররাতে তাপমাত্রা মাইনাস ২শ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। তাই সে সময় ল্যান্ডারের মেশিন ঠান্ডায় জমে যেতে পারে। ফলে আর কোনও আশা দেখছেন না ইসরোর বিজ্ঞানীরা।