দর্পণ ডেস্ক : এ মাসেই ফুটপাত দখলমুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ফুটপাত দখলমুক্তের কার্যক্রম শুরু হবে।
ডেঙ্গু নিয়ে আমরা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে আছি বলে মন্তব্য করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, কীভাবে ডেঙ্গু নির্মূল করা যায় এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শনিবার বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় শহীদ জায়ান চৌধুরী খেলার মাঠ উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ডিএনসিসির সব ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে রাজধানীবাসীর চলাচল উপযুক্ত করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
মেয়র বলেন, বনানীর এ মাঠটি শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী বোমা হামলায় নিহত যায়ান চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। যায়ান এলাকার অন্য শিশুদের সাথে এ মাঠে খেলতো। তার মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ মাঠটি তার নামে রাখা হয়েছে। এ নামকরণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ। তিনি আরো বলেন, যায়ান চৌধুরীর মতো আর কাউকে যেন প্রাণ দিতে না হয় এবং একটি সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ যেন গড়তে পারি আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘যে দেশ গড়ায় বঙ্গবন্ধু প্রাণ দিয়েছেন সে দেশে আমরা ময়লা-আবর্জনা ফেলতে পারি না। সুনাগরিক হিসেবে আমরা সকলে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারবো। ডিএনসিসির পাশাপাশি এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে এ মাঠটি সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, নগরবাসীর খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং বিনোদনের জন্য ডিএনসিসির ২৬টি পার্ক ও খেলার মাঠের সংস্কার কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে ৪টি পার্কের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে।
ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে শহীদ যায়ান চৌধুরীর মাতামহ শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বাড়াবড়ির কারণে যায়ানকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তিনি শহীদ যায়ান চৌধুরীর জন্য আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রার্থনা করার জন্য সকলের কাছে আহবান জানান।
শহীদ যায়ান চৌধুরী মাঠের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে এ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের নারী-পুরুষ, প্রতিবন্ধী, শিশু সকলে খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও বিনোদনের ব্যবস্থা হবে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৪টি পার্ক উন্নয়নের কাজ চলছে। সেগুলো আগামী মাস অর্থাৎ অক্টোবর থেকে উন্মুক্ত করা শুরু হবে জানিয়ে এসব পার্কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ, স্থপতি ইকবাল হাবিব উপস্থিত ছিলেন।