দর্পণ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশেই ডেঙ্গু রোগের কিট তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ‌্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী ২০১৮ সালে দেশের স্বনামধন্য মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ডেঙ্গু রোগের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় গাইডলাইন তৈরি করা হয়। গাইড লাইনটি সরকারি/বেসরকারি হাসপতালসমূহের চিকিৎসকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গত ৬ আগস্ট থেকে বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে দেশেই ডেঙ্গু রোগের কিট তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরফলে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার কিট সরবরাহ করা সম্ভব হবে। কাজেই ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণের কিট ঘাটতির কোনো সম্ভাবনা নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে বিশেষ করে উষ্ণমণ্ডলীয় ১২৭টি দেশে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ ও প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশেও এবছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এটি মশাবাহিত রোগ। এডিস মশা কামড়ালে ডেঙ্গু জ্বর হয়। সাধারণত ঘরের ভেতরে বালতি, প্লাস্টিক বোতল এবং নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে ঘর ও বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকাসহ সারাদেশে এডিস মশা ও এর লার্ভা নিধনের লক্ষ্যে আমরা সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে সঠিক ফ্লুইড ব্যবস্থাপনাই প্রধান চিকিৎসা। প্রচুর পরিমাণে পানি বা পানি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ, ডাবের পানি, শরবত, স্যালাইন, ফলের রস, সিদ্ধ শাকশবজির স্যুপ ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে স্বতন্ত্র ডেঙ্গু কর্ণার খোলা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এবং বেসরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত মূল্যে ডেঙ্গুর পরীক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার জন্য দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগ ৬৪ জেলায় মনিটরিং টিম গঠন করেছে।