দর্পণ ডেস্ক : ইমরান খানের বিড়ম্বনা বাড়ালেন তারই সাবেক স্ত্রী রেহাম খান। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন জোগাড় করতে চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এমন অবস্থায় কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সরাসরি ইমরান খানকেই দায়ী করেছেন তিনি।
রেহামের দাবি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই নেই ইমরান খানের। সারাক্ষণ নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করতেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তাই কাশ্মীর বিক্রি হয়ে গেছে।
সম্প্রতি পেশায় সাংবাদিক রেহাম খান পাকিস্তানবাসীর উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান, ছোট থেকে এটাই শিখেছি। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, কাশ্মীর বিক্রি হয়ে গেছে।
ভারত সরকার কাশ্মীর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, আগেই তা তিনি জানতেন বলেও দাবি রেহামের। তার কথায়, ৫ আগস্ট যখন ঘোষণা হল, আমার টিমের এক কাশ্মীরি ভাই আমাকে ফোন করেন। বলেন, ম্যাডাম আপনার কথাই সত্যি হল। আমি তাকে বলি, প্রার্থনা করুন, এভাবে যেন আমার কথা সত্যি না হয়।
এরপরেই উপত্যকার বর্তমান পরিস্থতির জন্য ইমরান খানের অদূরদর্শিতাকে দোষারোপ করেন রেহাম। তিনি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে কিছু একটা হতে চলেছে, তা গত বছর আগস্টেই জানিয়েছিলাম আমি। বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদি। তার জোরেই ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছেন। কিন্তু আপনাদের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কী করলেন? কাশ্মীর নীতি নিয়ে কথা বলতে উঠে জানিয়ে দিলেন, পুলওয়ামা হামলার পর এমন কিছু একটা ঘটতে চলেছে তা জানতেন তিনি। আপনি যখন জানতেনই, তখন মোদির দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে ছিলেন কেন? তাকে মিসড কলই বা কেন দিচ্ছিলেন।
রেহামের কথায়, সবকিছু জেনেশুনেও কিছু করতে না পারার অর্থ, হয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই নেই ইমরান খানের অথবা তিনি অত্যন্ত দুর্বল।
২০১৫’র ৬ জানুয়ারি রেহাম খানের সঙ্গে বিবাহের কথা ঘোষণা করেন ইমরান খান। কিন্তু ওই বছরই ৩০ অক্টোবর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তার পর থেকে একাধিক বার ইমরান খানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রেহাম। ইমরানের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনেন তিনি। আবার জাল ভোটে ইমরান পাকিস্তানের ক্ষমতায় এসেছেন বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
তার পরেই কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে ইমরানকে আক্রমণ করলেন রেহাম। তবে এ নিয়ে ইসলামাবাদের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।