আজ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অধীনস্থ দপ্তরের প্রধানগণ, মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, এবারের ঈদ আনন্দের হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ দুর্যোগ দুর্বিপাক মেকাবিলা করে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জাতি। তারা শত কষ্টের মধ্যেও হাসতে জানে, আনন্দ করতে জানে। তারা সকল কিছু মোকাবিলা করে। এর ফলে তাদের আনন্দে ঘাটতি থাকে না।
এবারের বন্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদ্মা, মেঘনা, যমুনার অববাহিকায় বসবাসরত এ দেশের মানুষ প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে রয়েছে যুগ যুগ ধরে। এবারের বন্যায়ও তাই করেছে। তবে আমনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন হবে। পানির কারণে যে সব জায়গায় ধান চাষ করা যাবে না, সে সব জায়গায় রবিশস্য আবাদ করা হবে। কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার-সহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ দেওয়া হবে। পানি নামার সাথে সাথে যাতে করে কৃষক চাষাবাদ করতে পারে, সে জন্য সব জেলায় ইতোমধ্যে মাসকালাই বীজ প্রেরণ করা হয়েছে চাষের জন্য।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সনাতন কৃষি থেকে আধুনিক, বাণিজ্যিক কৃষিতে যেতে হবে। তা না হলে কৃষি ও কৃষককে বাঁচানো যাবে না। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইতোমধ্যে ১শ ২০ কোটি টাকা প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রয়োজনে আরো বেশি দেওয়া হবে; জানালেন কৃষিমন্ত্রী।
যুগ্মসচিব হাসানুজ্জামান কল্লোলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান ।