গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ
(ডাকসু)’র সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূরের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ
পাওয়া গেছে। বুধবার (১৪ আগষ্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে পটুয়াখালী জেলার
গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার সংযোগ সেতু উলানিয়া বন্দরে তার উপর এ সন্ত্রাসী
হামলা করা হয়। এতে ভিপি নূর সহ তার সফর সঙ্গী ইব্রাহিম প্যাদা আহত
হয়েছেন। তবে এনিয়ে গলাচিপা থানা পুলিশ বলছে সন্ত্রাসী হামলার কোন ঘটনা
ঘটেনি। আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দেখে নূর আতংকিত হয়ে
পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলছেন নূর’র শরীরে কোন ধরনের হামলার চিহ্ন দেখা
যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর সে বাড়ী চলে গেছে।
ভিপি নূর’র পিতা ইব্রাহিম হাওলাদার ও খালাতো ভাই মোহাম্মদ উল্লাহ মধু
জানান, গলাচিপা থেকে মোটরসাইকেল করে বন্ধুদের নিয়ে দশমিনায় খালা বাড়ী
যাওয়ার পথে উলানিয়া বন্দরে একদল সন্ত্রাসী নূরের ওপর হামলা চালায়। এতে সে
সহ ইব্রাহিম নামের একজন আহত হয়। এরপর তাকে অজ্ঞান অবস্থায় চিকিৎসার জন্য
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার মোর্শেদ জানান, ’খবর
পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি নিজে উপস্থিত হই। নূর’র উপর কোন ধরনের হামলার ঘটনা
ঘটেনি। নূর ৪/৫টি মোটর সাইকেল নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিল। এসময় গলাচিপা ও
দশমিনা উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা স্থানীয় সাংসদের
বাড়ীতে দাওয়াতে যাওয়ার জন্য রওয়না হলে তাদের মোটরসাইকেল বহর দেখে সে
আতংকিত হয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ীতে আশ্রয় নেয়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মনিরুজ্জামান জানান,
’নূরুল হক নূর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এসময় তার চোখ বন্ধ
থাকলেও চোখের পাতা নড়ছিল বিধায় তার অবস্থা অজ্ঞান বলা যাবেনা। এছাড়া তার
শরীরে কোন ধরনের হামলার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
এদিকে নূর’র উপর হামলা হয়েছে বলে কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান ফেসবুক
লাইভে এসে অভিযোগ করেন। এছাড়া তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে তিনি
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও গনমাধ্যম কর্মীদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন।