গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দুস্থ্য মানুষের জন্য
সরকারের বরাদ্দকৃত ঈদ-উল-আযহার বিশেষ ভিজিএফর ১২ বস্তা চাল চুরি ও
আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে বালিয়াতলি ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীনকে শনিবার
(১০আগষ্ট) সকালে দন্ডবিধির ৪০৯ ও ১৯৪৭ সনের দুদক আইনের ৫(২) ধারার মামলায়
গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে কলাপাড়া থানা পুলিশ। পরে আদালত
পুলিশ তাকে জেলা কারাগারে প্রেরন করেছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনিবুর রহমান’র নেতৃত্বে
উপজেলা প্রশাসন বালিয়াতলী ইউনিয়নের তুলাতলি বাজারে ওই ইউপি সদস্য’র
মালিকানাধীন মিম ষ্টোর্স’র গোডাউন থেকে ভিজিএফ’র ১২ বস্তা চাল (৩৬০ কেজি)
উদ্ধার করে। এসময় তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা
তপন কুমার কুমার ঘোষ শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করেন।
এর আগে বুধবার (৭আগষ্ট) বিকেলে ঈদের বিশেষ ভিজিএফ এর চাল চুরি ও আত্মসাত
চেষ্টার অভিযোগে কলাপাড়ার ইউএনও’র নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন
পূর্ব-চাকামইয়া গ্রামের দুইটি স্পটে অভিযান চালিয়ে মোট ১৫ বস্তা চাল ও
১০টি খালি বস্তা উদ্ধার করে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন কবির
কেরামত সহ তার সহযোগী মো. জামাল নামের একজনকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বর সহ সহ ৫ জনকে
আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় তাদের জামিন না
মঞ্জুর করেছেন।
ইউএনও মো: মুনিবুর রহমান জানান, দুস্থ্যদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত
ভিজিএফ’র চাল বিতরন না করে চুরি ও আত্মসাৎ চেষ্টার সাথে জড়িতদের আইনের
আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে তাদের আদালতে সোপর্দ করেছে। এখন
আদালত এদের বিচার করবে।
এদিকে বালিয়াতলী ইউপি’র ভিজিএফ কেলেংকারীতে চেয়ারম্যান সন্দেহাতীত ভাবে
জড়িত বলছে স্থানীয় একটি সূত্র। কেননা আটক ইউপি সদস্য নাসির চেয়ারম্যানের
বিশেষ ঘনিষ্ঠজন বলছে সূত্রটি। এছাড়া চেয়ারম্যানের যোগসাজশ ছাড়া ১২ বস্তা
চাল ইউপি সদস্য নাসির তার দোকানে বিক্রীর জন্য রাখার দু:সাহস দেখাতে
পারেনা বলে দাবী করেছে সূত্রটি। চাল চুরি ও আত্মসাত চেষ্টার ঘটনায় তদারকি
কর্মকর্তারও যোগসাজশ থাকায় সেও পার পেয়ে যেতে পারে না বলে দাবী স্থানীয়
ওই সূত্রটির। এখন অপেক্ষার চোখ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দিকে।