দর্পণ ডেস্ক : খাড়গে না ওয়াসনিক? কে হবেন কংগ্রেসের নয়া সভাপতি? না কি অন্য কেউ? কংগ্রেসের দায়িত্ব কার কাঁধে উঠছে? তা আজই স্থির হতে পারে। নয়া কংগ্রেস সভাপতিকে ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি।

নয়া কংগ্রেস সভাপতি বাছতে আজ সকালে বৈঠকে বসছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। রাহুল গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া কংগ্রেস সভাপতির পদে যোগ্য নেতাকে বাছাই করতে জোর তৎপরতা কংগ্রেসের অন্দরে। ইতিমধ্যেই দুই নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও মুকুল ওয়াসনিক।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরই দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন রাহুল। এ নিয়ে জোর টালবাহানা চলে কংগ্রেসশিবিরে। রাহুলের ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তাবের পর বহু কংগ্রেস নেতাই দলের পদ থেকে ইস্তফা দিতে শুরু করেন। রাহুলের সিদ্ধান্ত বদলানোরও আর্জি জানান কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে গত ২৫ মে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। সোনিয়া পুত্রের ইস্তফার ৩ মাস পরও কংগ্রেস সভাপতি বাছতে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত গত দুই দশকে এই প্রথমবার গান্ধী পরিবারের সদস্য ছাড়াই কেউ কংগ্রেস সভাপতি হতে চলেছেন।

কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে শুক্রবার দলের সব মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সভাপতি, সাংসদ, পদাধিকারীদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে কাকে নিযুক্ত করা হবে, সে নিয়েই সকলের কাছে মতামত জানতে চান রাগা। জানা গিয়েছে, খাড়গে বা ওয়াসনিককে কংগ্রেস সভাপতির হিসেবে মানতে কয়েকজন নেতা আপত্তি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, খাড়গে ও ওয়াসনিক দু’জনেই দলিত। গত লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা ছিলেন খাড়গে। ১৯৮০ সালে যুব কংগ্রেস ও এনএসইউআইয়ের সভাপতি ছিলেন ওয়াসনিক।

অন্যদিকে, আরেক সূত্রের খবর, দলের নয়া সভাপতি নির্বাচন ঘিরে নানা মুনির নানা মত রয়েছে দলের অন্দরে। কারও পছন্দ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে। কেউবা আবার চান, দলের নয়া সভাপতি করা হোক কোনও তরুণ নেতাকে। আবার কারও যুক্তি এমন কাউকে সভাপতি করা হোক, যিনি অভিজ্ঞ। কারও দাবি, কংগ্রেসের নয়া সভাপতিকে দলিত হতে হবে, যার জেরে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া যাবে।শেষ পর্যন্ত কার ইচ্ছে পূরণ হয়? সেদিকেই নজর থাকবে সংশ্লিষ্ট মহলের।