দর্পণ ডেস্ক : কিছুদিন আগেই শোনা গেছে, দীর্ঘ ১৮ বছর আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালানোর পর আমেরিকা তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসছে। কিন্তু সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাশে বসিয়ে তিনি বলেন, আমরা ইচ্ছা করলে পৃথিবীর বুক থেকে আফগানিস্তানকে মুছে দিতে পারি। কিন্তু তার বদলে আমরা আলোচনার পক্ষপাতী।

ওভাল অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প হুমকি দেন, আমরা খুব শিগগির আফগানিস্তানে সশস্ত্র সংঘাত বন্ধ করতে পারি। আফগানিস্তানকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে দিতে পারি। এক সময় পাকিস্তান ছিল তালেবানের প্রধান সাহায্যকারী। পাকিস্তানের সাহায্যেই তালেবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে। ২০০১ সাল থেকে তালেবান আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। আমেরিকা এখন চেষ্টা করছে যাতে পাকিস্তানের সাহায্যে আফগানিস্তানের আশরফ গনি সরকারের সঙ্গে তালেবানের একটা সমঝোতা সম্ভব হয়।

ট্রাম্পের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহে সমঝোতার ব্যাপারে অনেক দূর এগোন গিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষে আফগানিস্তানে ভোট হবে। তার আগেই আমেরিকা চায় তালেবান’র সঙ্গে শান্তি চুক্তি হোক। তার পরে ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে আনবেন। এই প্রসঙ্গেই ট্রাম্প বলেন, আমরা যদি আফগানিস্তানের যুদ্ধে জিততে চাই, এক সপ্তাহে জিততে পারি। কিন্তু আমি এক কোটি মানুষকে হত্যা করতে চাই না।

শামিলা চৌধুরির মতে ইমরানের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক নিছকই আনুষ্ঠানিক ব্যাপার। ইমরানের সঙ্গে আমেরিকা সফরে এসেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাওয়েজা। তার সঙ্গেই ‘মূল আলোচনা’ করেছে আমেরিকার সরকার।

আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রাক্তন কর্মী শামিলা চৌধুরি বলেন, তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় আমাদের সাহায্য করেছে পাকিস্তান। তারই পুরস্কার হিসাবে ইমরানকে আমেরিকায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২০১১ সালে পাকিস্তানের মাটিতে আমেরিকা আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার পরে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। কিছুদিন আগে অবশ্য আইএমএফ পাকিস্তানকে ৬০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে।

সূত্র : দ্য ওয়াল