গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে দলীয় শৃংঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করায়
উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই জন সভাপতি, পৌর মেয়র ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ
মোট ৯ জনকে বহিস্কার করা হয়েছে। শনিবার রাতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে
সাংবাদিকদের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে মতবিনিময় কালে এ তথ্য উপস্থাপন করেন
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী আলমগীর।
বহিস্কৃতরা হলেন পটুয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম
আজাদ (কালাম মৃধা), দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা
পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সিকদার, পৌর আওয়ামী লীগ সদস্য ও কৃষকলীগের
অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা
আওয়ামীলীগ সদস্য ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোহাম্মদ আবু
বকর সিদ্দিক, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও দশমিনা উপজেলা পরিষদ’র সাবেক
চেয়ারম্যান অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন শওকত, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বাউফল
উপজেলা পরিষদ’র সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মজিবর রহমান। এছাড়াও
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আরিফ বিন ইসলাম, দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের
সহ-সভাপতি আবুল বাশার ডাবলু ও ত্রান বিষয়ক সম্পাদ হাজী আবু বকর।
লিখিত বক্তব্যে আ’লীগ সম্পাদক কাজী আলমগীর বলেন, ’বিগত পৌরসভা ও উপজেলা
পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনীত নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী
হওয়ায় গত ১২ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত
মোতাবেক একটি তালিকা তৈরী করে বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে দলের সকল পদ থেকে
প্রাথমিক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। ওই তালিকার একটি চিঠি পটুয়াখালী জেলা
আওয়ামী লীগের কাছে পৌঁছলে এ বিষয়ে শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ একটি সভা
করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদেরকে প্রাথমিক ভাবে বহিস্কার করে কারন দর্শানোর
নোটিশ প্রদান করে এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বরাবরে
সিদ্ধান্তের বিষয়টি লিখিত আকারে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ’বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে
নির্বাচনে দলের নেতারা যারা কাজ করেছেন তাদের তালিকাও প্রস্তুতের কাজ
চলছে। উপযুক্ত প্রামানাদী সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও দলীয় সিদ্ধান্ত
মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মহিববুর রহমান মহিব, জেলা
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল,
অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ’র সাবেক চেয়ারম্যান
অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক গাজী হাফিজুর রহমান সবির,
শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ’র সাবেক চেয়ারম্যান
অ্যাড. মো. তারিকুজ্জামান মনি, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান
লেলিন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড.
সুলতান আহমেদ মৃধা প্রমূখ।
এদিকে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ’র সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম
রাকিবুল আহসান জানান, ’কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের নৌকা
প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন ও নৌকা
প্রতীকের বিরুদ্ধাচরন করায় দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে বিদ্রোহী প্রার্থী
সৈয়দ আখতারুজ্জামান কোক্কা, তার পুত্র টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ
মশিউর রহমান শিমু, মহিপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আ: মালেক আকন, তার
পুত্র সোহাগ আকন সহ ৭ জনকে বহিস্কার করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ।’ তবে এ নিয়ে
ভিন্নমত জানিয়েছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান কোক্কা ও আবদুল মালেক আকন। তাদের
দাবী দলের শৃংখলা ভঙ্গের সাথে তারা জড়িত না থাকায় কেন্দ্র ও জেলা তাদের এ
বিষয়ে কোন কিছু জানায়নি। রাকিবুল আহসান যা বলছেন, সেটা আক্রোশ মূলক।