অকথ্য ভাষায় গালমন্দ, সাম্প্রদায়িক কথা তুলে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাকুরী
চ্যুতির হুমকী প্রদানে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ’র অধ্যক্ষ মো:
কালিম উল্লাহ’র নামে কলাপাড়া থানায় জিডি দায়ের করা হয়েছে। একই কলেজের
পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের প্রভাষক ও জাতীয় দৈনিক যায় যায় দিন’র কলাপাড়া
প্রতিনিধি চঞ্চল সাহা বুধবার রাতে এ জিডি দায়ের করেন।
প্রভাষক চঞ্চল সাহা মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজে ২০০০ সালে চাকুরিতে
নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে বিরতিহীন ভাবে কর্মরত আছেন। তার মধ্যে ১০
বছর বিনাবেতনে চাকুরি করেছেন। ২০১০ সালের মে মাসে কলেজটি এমপিও ভুক্ত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ’র প্রভাষক ও গনমাধ্যম কর্মী চঞ্চল
সাহা তার এমপিও’র ৮ বছর পূর্তিতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে সহকারী অধ্যাপক
পদের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। এরপর পদোন্নতির সকল কাগজ
পত্র তাকে দেওয়া সত্ত্বেও অনৈতিক দাবী মেটাতে না পারায় মাঝপথে তার
পদোন্নতির বিষয়টি আটকে দিয়ে জুনিয়র তিন শিক্ষককে পদোন্নতির কাগজ দিয়ে
অনলাইনে প্রেরন করেন অধ্যক্ষ কালিমুল্লাহ। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে চঞ্চল
সাহা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর’র মহা-পরিচালক বরাবরে আবেদন করেন।
এতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৮ মে ২০১৯
৭জি/১৫৪(ক-৩)/১০(অংশ-১)/২০৮১/৩ স্মারকে অধ্যক্ষ কালিম উল্লাহ কে এ
সংক্রান্ত ব্যাখ্যা দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ’র অধ্যক্ষ কালিম উল্লাহ
জানান, ’আমি ঢাকাতে ছিলাম। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে এসেছি। চঞ্চল সাহার
সাথে বুধবার পর্যন্ত আমার কোন কথা হয়নি। জিডির ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা।’ এক
পর্যায়ে তিঁনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, ’আর ভাই সমস্যা নাই, জিডি করে করুক।’
কলাপাড়া থানার অফিসার ইন চার্জ মো: মনিরুল ইসলাম জিডি দায়েরের ঘটনার
সত্যতা স্বীকার করে জানান, ’বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া
হবে।