দর্পণ ডেস্ক : শেষবারের মতো রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ । নিথর দেহে শেষবারের মতো রংপুরে গেছেন তিনি। রংপুরের লাখো কর্মী-সমর্থক শেষ বিদায় জানাবেন তাদের প্রিয় নেতাকে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে রংপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে এরশাদের কফিনবাহী হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারটিতে সঙ্গে গেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে মরদেহবাহী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্টের মাঠে পৌঁছে। সেখান থেকে তার মরদেহ নেয়া হয় রংপুর কালেক্টরেট মাঠে। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানাবে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বাদ জোহর সেখানেই হবে তার চতুর্থ ও শেষ জানাজা।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে কোথায় দাফন করা হবে এ ব্যাপারে দ্বন্দ্ব থাকলেও সকালে এরশাদের ভাই জিএম কাদের জানিয়েছেন ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
অন্যদিকে রংপুর জাতীয় পার্টি দাবি করে আসছে রংপুরে তাদের নেতাকে দাফন করার ব্যাপারে। এজন্য তারা সেখানে কবরও খুঁড়ে রেখেছেন। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তফা জানিয়েছেন, ‘পল্লীনিবাসে উঠতে না পারলেও পল্লীনিবাসের উঠানেই শায়িত হবেন আমাদের প্রিয় নেতা, শ্রদ্ধাভাজন অভিভাবক।’
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করব তিনি যেন আমাদের নেতা ও আমাদের অভিভাবক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ইচ্ছে অনুযায়ী তাকে রংপুরে সমাহিত করার সহযোগিতা করেন। একইভাবে সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনী প্রধানের প্রতিও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন। রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় এবং বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর ৩ (সদর) আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি এ আসন থেকে টানা ছয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।