দর্পণ রিপোর্ট: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সমুদ্র হচ্ছে পৃথিবীর শরীরের রক্ত প্রবাহ। রক্ত প্রবাহ দূষিত হলে যেমন মানুষ বাঁচে না, তেমনি সমুদ্র দূষিত হলেও পৃথিবী বাঁচবে না।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন  ও সাউথ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়র্নমেন্টাল প্রোগ্রাম -এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘লন্ডন প্রটোকল’-এর ওপর অনুষ্ঠিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।

মন্ত্রী বলেন, পরিবেশের একটি বড় অংশ এবং পানির প্রধান উৎস হচ্ছে সমুদ্র। এই প্রধান উৎসকে আমরা নানাভাবে দূষিত করছি। বর্জ্য অপসারণের স্থান সমুদ্র নয়। অথচ বছরে ২৫০ মিলিয়ন টন বর্জ্য নিক্ষিপ্ত হচ্ছে সমুদ্রে। সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বারা সমুদ্র দূষণ। তারপর রয়েছে তেল জাতীয় পদার্থ ও জাহাজ থেকে নিক্ষিপ্ত অন্যান্য বর্জ্য। আমাদের এই ধরনের কাজ থেকে সরে আসতে হবে। সমুদ্রকে দূষণমুক্ত রাখতে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরির সময় এসেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, শুধু সমুদ্র নয়, নদীমাতৃক এই দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে আমাদের নদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। যারা নদী দূষণ করছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি জনগণকেও এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বর্জ্য ও অন্যান্য পদার্থের ডাম্পিং দ্বারা সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ৮৭টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত লন্ডন কনভেনশন। দূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করা, দূষণ প্রতিরোধে বর্জ্য পদার্থ এবং অন্য বিষয়গুলোর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ করাই ছিল ওই কনভেনশনের লক্ষ্য। এরই ধারাবাহিকতায় কনভেনশনের সিদ্ধান্তসমূহের আধুনিকায়ন ও এগুলোকে যুগোপযোগী করার জন্য ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত হয় ‘লন্ডন প্রটোকল’। বাংলাদেশ-সহ ৫১টি রাষ্ট্র এতে স্বাক্ষর করে। ২০০৬ সালে ৫১টি রাষ্ট্রের স্বাক্ষরিত লন্ডন প্রটোকল কার্যকর হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাউথ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়র্নমেন্টাল প্রোগ্রাম -এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. আবাস বসির  ও ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন -এর প্রতিনিধি এন্ড্রো ব্রিকেনো