দর্পণ ডেস্ক : ক্রিকেট ইতিহাসে তেমন ‘কিছু’ ইংল্যান্ডের পক্ষে নয়। ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড, বলার মতো এটুকুই যেন আছে তাদের। ইতিহাসের প্রথম টেস্টে-প্রথম ওয়ানডেতে হার। আগে তিনবার বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বপ্ন ভঙ্গ। ঘরের মাঠে আগের চার বিশ্বকাপেও খালি হাত। দুই দশক আগে স্বাগতিক হয়ে গ্রুপ পর্বে বিদায়! সেই চোখ রাঙানি কাটিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড।
ওদিকে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে এজবাস্টন জয় করে লর্ডসে শিরোপা উচিয়ে ধরে অজিরা। সেসব পেছনে ফেলে এজবাস্টনেই অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। কিউইদের সঙ্গে নিশ্চিত করেছে লর্ডস যাত্রা। এবার ক্রিকেট বিশ্ব ২৩ বছর পর নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখার অপেক্ষায়।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড মুখোমুখি মানেই টিভি পর্দা কিংবা গ্যালারিতে চোখ সেটে রাখার মতো ব্যাপার। সেই লড়াইয়ে ঐতিহ্য ধরে রেখে টস জিতে ব্যাটিং নেয় অস্ট্রেলিয়া। এজবাস্টনের উইকেটও ছিল ব্যাটিং সহায়ক। শুরু থেকে শেষ অবধি অজি ব্যাটসম্যানদের ছড়ি ঘুরাতে দেয়নি পোমসরা। তবে স্টিভ স্মিথের বিচক্ষণ ব্যাটিংয়ে ২২৩ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া।
জবাব দিতে নেমে অজি পেসারদের পাত্তাই দেয়নি ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার জেসন রয় এবং জনি বেয়ারস্টো ঝড়ো শুরু করেন। দুজন গড়েন ১২৪ রানের জুটি। ১৮ ওভারের মধ্যে গড়া ওই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া। জনি বেয়ারস্টো ৩৪ রান করে ফেরেন। জেসন রয় ৬৫ বলে ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। পাঁচটি ছক্কা এবং নয়টি চার মারেন তিনি। তবুও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের একমাত্র আক্ষেপ জেসন রয়। সেঞ্চুরির পথে থাকা ইংলিশ ওপেনার আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে ফিরে যান। রয়-বেয়ারস্টো ২৩ রানের ব্যবধানে আউট হন। কিন্তু জো রুট কিংবা ইয়ন মরগানের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ ছিল না।
শেষ পর্যন্ত ৩২.১ ওভারে রুট-মরাগানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে থাকা রুট ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। মরগান খেলেন ৩৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ১০৭ বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড গড়ে তারা।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের এক আসরে ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর রেকর্ডও গড়ল। আর অস্ট্রেলিয়া ২০০২ সালের পর এজবাস্টনে পেল হারের স্বাদ। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এক বছর নিষিদ্ধ থাকা স্টিভ স্মিথ খেলেন ৮৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। অ্যালেক্স কেরি ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। দুজনে গড়েন ১০৩ রানের জুটি। মিশেল স্টার্ক ২৯ এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২২ রান করেন।
ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ তিনটি করে এবং দুটি উইকেট নেন জোফরা আর্চার।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উইকেট দুটি নেন কামিন্স ও স্টার্ক।