ডেঙ্গুর মতোই ভাইরাসজনিত একটি অসুখ চিকুনগুনিয়া। এটি ছড়ায় স্ত্রীজাতীয় এডিস ইজিপ্টি ও এডিস এলবোপিকটাস মশার কামড়ে। চিকুনগুনিয়া হলে শরীরের ১০ বা তারও বেশি জয়েন্টে আক্রমণ করতে পারে। তবে এটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন চিকুনগুনিয়া
১. চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ অনেকটা ডেঙ্গু জ্বরের মতোই। তবে দেহের তাপমাত্রা একটু বেশি (প্রায়ই ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত) থাকে। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চিকুনগুনিয়া থাকে এবং একসময় নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়।
২. হাত বা পায়ের আঙুল, গোড়ালি, কবজি, মেরুদণ্ড বা অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথার সঙ্গে তা ফুলেও যেতে পারে। জ্বর সেরে যাওয়ার পরও ব্যথা থাকতে পারে।
৩. তীব্র মাথাব্যথা, মাংসপেশির দুর্বলতা দেখা দেয়।
৪. জ্বর কমে যাওয়ার পর ৭০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা চলে যায়। বাকি ৩০ শতাংশের ব্যথা বেশ কিছুদিন থাকে।
৫. ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে যায়, রক্ত ক্ষরণের ঝুঁকি, এমনকি মৃত্যুঝুঁকিও থাকে, চিকুনগুনিয়ায় এসব থাকে না।
চিকিৎসা
১. এডিস মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া হয় বলে এ থেকে বাঁচতে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস ও মশা নির্মূল করা উচিত।
২. রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে এবং প্রচুর পানি, ফলের জুস বা অন্যান্য তরল খেতে দিতে হবে।
৩. সংক্রমিত অবস্থায় সব ধরনের সামাজিকতা এড়িয়ে চলুন।
৪. চিকুনগুনিয়া জ্বর হলে বাড়িতেই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। এই রোগের নির্ধারিত কোনো চিকিৎসা নেই।
৫. সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট হিসেবে প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধই যথেষ্ট। এতে জ্বরের পাশাপাশি ব্যথাও কমে যায়।
৬. ব্যথা বেশি হলে এনএসএইড ছাড়া সাময়িকভাবে ট্রামাডল গ্রুপের ওষুধ দেয়া যেতে পারে।
৭. গলা ব্যথা থাকলে লবণ ও গরম পানি দিয়ে ঘন ঘন গার্গল করতে হবে।