দর্পণ ডেস্ক : বুধবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিওভা বলেছেন, উন্নয়নই যে ঘুরে দাঁড়ানোর সেরা উপায় বাংলাদেশ তা করে দেখিয়েছে। দারিদ্র্য কমানো, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, জন্মহার নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
দু’দিনের সফরে বুধবারই ঢাকায় পৌঁছান ক্রিস্টালিনা জর্জিওভা। বাংলাদেশে এটিই তার প্রথম সফর।
স্বাধীনতার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে জর্জিওভা বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন তিনি হাইস্কুলে পড়তেন। তখন থেকেই তিনি বাংলাদেশে আসার স্বপ্ন দেখতেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। দেশটি বিশেষত নারীর ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে আনতে পেরেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সামনের দিকে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের সিইও।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তাই এখানকার মানুষকে কীভাবে সুরক্ষা দেয়া যায়- সে উপায় বের করতেই ঢাকাতেই এই আয়োজন। নষ্ট করার মতো সময় এখন নেই। যদি মানুষের জানমাল রক্ষা করতে হয়, তাহলে অভিযোজন ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
জর্জিওভা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির সূচকে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ছিল প্রথম স্থানে; কিন্তু এটি এমন একটি স্থান যেখানে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কীভাবে মোকাবেলা করতে হয়, তার অবিশ্বাস্য উদ্ভাবনী দক্ষতা বাংলাদেশ দেখিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিজেদের অনেক সমস্যা থাকার পরও পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত রেখেছে, তাতে তিনি অভিভূত। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী হতে পেরে বিশ্বব্যাংক গর্বিত বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
ক্রিস্টালিনা জর্জিওভা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ যেভাবে সাফল্য অর্জন করেছে, তাতে তিনি মুগ্ধ। মানুষের মাথাপিছু আয় ১০০ ডলার থেকে বেড়ে ১৫০০ ডলার হয়েছে।