রিকশাচালকদের আন্দোলনে একদিন বন্ধ থাকার পর রাজধানীর সড়কে শুরু হয়েছে যানবাহন চলাচল।চিরচেনা রূপে ফিরেছে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড-নতুনবাজার-বাড্ডা-রামপুরা সড়ক।দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে কর্মজীবী মানুষ।

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে পুরোদমে গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে। ভোগান্তি শেষে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। এর আগে মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা লেন করার নির্দেশ দিলে সড়ক ছাড়েন আন্দোলনরত রিকশাচালক-মালিকরা। এরপর বিকেল থেকেই যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।

সম্প্রতি রাজধানীর প্রধান তিন সড়কে রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞাকে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানালেও রিকশাচালক ও মালিকরা মঙ্গলবার দিনভর কুড়িল-রামপুরা-সায়েদাবাদ সড়ক অবরোধ করে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে ওই দিন সাধারণ মানুষ ও কর্মজীবীরা চরম দুর্ভোগ পড়েন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় কুড়িল, নতুন বাজার ও বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোথাও রিকশাচালকদের অবরোধ নেই। নির্বিঘ্নে সব ধরনের যানচলাচল করছে। তবে সড়কে রিকশা দেখা না গেলেও মাঝে মধ্যে কিছু ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় ভ্যানও রয়েছে। কিন্তু ভ্যান বন্ধে পুলিশের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।

এদিকে প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ ও যান চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, পৃথিবীর কোনো রাজধানী শহরে সড়কে রিকশা তথা কোনো ধীর গতির যান চলাচল করে না। এতে করে ওই শহরে দ্রুত যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ঢাকা শহরের প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তে কর্তৃপক্ষকে অটল থাকার অনুরোধ এসব সাধারণ মানুষের।

কর্মজীবী আসাদুল্লাহ বলেন, পৃথিবীর কোনো বড় শহরেই রিকশা চলে না। দেরিতে হলেও সড়কে গতি বাড়াতে রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষ উদ্যােগ নিয়েছে, এজন্য সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বাংলাদেশ একটি অদ্ভুত দেশ। এখানে একটা ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কিছু কুচক্রী মহলের ইন্ধনে সড়ক বন্ধ করে তাণ্ডব চালালো রিকশা চালকরা, এটা সাধারণ মানুষকে খুবই ব্যথিত করেছে।

আরেক কর্মজীবী সায়মা বলেন, আমি প্রতিদিন নতুন বাজার থেকে মতিঝিল গিয়ে অফিস করি। কিন্তু সড়কে রিকশা চলাচল করায় হুট করেই ফাঁকে ঢুকে পড়ে রিকশা। এতে বাসের গতি কমে যায় এবং দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে।

তাহারিমা সুলতানা হাসি নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার আমি খিলগাঁও থেকে হেঁটে বাড্ডায় অফিস করেছি। এখন যান চলাচল করায় স্বস্তি ফিরেছে।