‌‌দর্পণ ডেস্ক : দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে কোপা আমেরিকার শিরোপার দেখা পাচ্ছিল না ফুটবলের পরাশক্তি ব্রাজিল। অবশেষে তাদের সেই অপেক্ষার পালা ফুরাল। সোমবার রাতে ঐতিহাসিক মারাকান স্টেডিয়ামে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৯ম বারের মতো কোপার শিরোপা নিজেদের করে নিল ব্রাজিল।

দীর্ঘদিন পর শিরোপা জেতায় ঘরের মাঠে ব্রাজিল দলের ফুটবলার ও ভক্ত-সমর্থকরা বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে। সেখান থেকে বাদ যাননি দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো। ফাইনাল ম্যাচটি তিনি মাঠে বসেই উপভোগ করেন। আর শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর পরই তিনি সোজা মাঠে নেমে ফুটবলারদের সঙ্গে শিরোপা উদযাপনে মাতেন।

প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো অবশ্য একা নন। রিও ডি জানেইরোর মারাকানায় অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচটি দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য। তবে পুরো ম্যাচজুড়েই সমর্থকরা তাদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে গেছে। মূলত শাসকগোষ্ঠীর কেউ মাঠে গেলে তাদের দুয়োধ্বনি দেয়া মারাকানার পুরনো ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে একটি। এর মাধ্যমে তারা কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ জানায়।

এ বছরের ১ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন বোলসোনারো। তবে ক্ষমতায় বুঝে পাওয়ার পর থেকেই তার জনপ্রিয়তা নিচে নামতে শুরু করে। দেশটির অর্থনৈতিক ও প্রশাসনের অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই দেশটির জনগণ অপছন্দ করতে শুরু করে বোলসোনারোকে।

তবে বোলসোনারো নিজেই নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য গতকাল মাঠে খেলা দেখতে আসেন। প্রতিনিয়ত দুয়োধ্বনি শোনায় হয়তো নিজের জনপ্রিয়তা কতটুকু কমেছে তা আঁচও করতে পেরেছেন তিনি।

এর আগে কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচ ও সেমিফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণেও মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন বোলসোনারো। সেই দুই ম্যাচেও তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে মেতেছিল ব্রাজিলিয়ানরা।

ব্রাজিল ম্যাচের প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটে গোল করে। ৪৪ মিনিটে গোল করে পেরু সমতা আনে। অতিরিক্তসহ ৪৮ মিনিটে আবার গোল পায় ব্রাজিল। ২-১ এগিয়ে থাকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল। জেসুস ম্যাচের ৭৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন। ১০ জন নিয়ে পরের সময়টা অবশ্য ভালোয় ভালোয় পার করে ব্রাজিল। শেষ সময়ে গোলও করে একটি। তার আগে ম্যাচের ১৫ মিনিটে গোল করেন এভারটন। শেষ সময়ে ৯০ মিনিটে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। শেষে ৩-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।