দর্পণ ডেস্ক : দেশে বিকাশের গতি বাড়ানো বা দেশের ছবি পরিবর্তন করার জন্য মোদি সরকার দিন দিন বড় সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছে । এক এক করে প্রায় প্রতিটি বর্গের জন্য মোদি সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। যার মধ্যে কৃষক, শ্রমিক, সেনা-জওয়ান, সিনিয়র সিটিজেন থেকে শুরু করে সকল বর্গ রয়েছে। কৃষক থেকে শুরু করে সেনার জওয়ানদের পরিবারের জন্য সরকার প্ল্যান তৈরি করে ফেলেছে। এবার পালা অত্যন্ত গরিবদের। আমরা তাদের কথা বলছি যাদের নিজেদের ঘর পর্যন্ত নেই। যারা কাঁচা বাড়ি বা যারা বস্তিতে থাকে। এই বস্তিগুলি দেশের সুন্দরতায় বরাবর দাগ হয়ে আছে। তবে প্রশ্ন শুধু দেশের সুন্দরতার নয়, এটি দেশের বিকাশের উপরও একটি বড় প্রশ্ন তৈরি করে।

সেদিকে নজর রেখে নরেন্দ্র মোদি নিজের দ্বিতীয় মেয়াদে গরিব ও শ্রমিকদের একটি বিশেষ পুরস্কার দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এই পরিকল্পনার অধীনে দেশের মেট্রো শহরে গরিব ও শ্রমিকদের পাকা বাড়ি ভাড়ায় দেয়া হবে।
যেখানে তারা ইলেকট্রিক ও পানির সুবিধা পাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ লাখ টাকা বছরে বা তার চেয়ে কম আয় সেই গরিব পরিবারদের মহানগরে এক কক্ষের বাড়ি দেয়া হবে। সরকারের এই পরিকল্পনা ভাউচার স্কিমের অধীনে চলে যাবে। বাসস্থান ও শহরী মামলার মন্ত্রণালয় একই মামলায় কাজ করবে। পরিকল্পনাকে তারপর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা পরিকল্পনার সাথে জুড়ে দেয়া হবে। শ্রমিক ফান্ডের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা শুরু করার প্ল্যান রয়েছে।

যার জন্য একটি হাউসিং বোর্ড বানানো হবে। প্ল্যানের বিশেষ ব্যাপার হলো নিজ কোম্পানিগুলিও বাড়ি বানানোর অনুমতি পাবে। অর্থাৎ কিছু ভাগগুলিতে কমার্সিয়াল ইউজ বা ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দিয়ে বাকি জায়গাগুলিকে শ্রমিক বা দিনমজুর বর্গের জন্য রাখা হবে। যেখানে তাদের জন্য ভাড়ার বাড়ি বানানো হবে। জানিয়ে দি, এই পরিকল্পনার অধীনে ভাড়া হাউসিং বোর্ড ঠিক করবে। প্রথমে ৩ লাখের চেয়ে কম আমদানির লোকেদের রেজিস্ট্রেশন হবে। তার ভাউচার ভাগ করা হবে তারপর ভাড়া এই ভাউচার বোর্ডকে দিতে হবে। সূত্র : আনন্দবাজার