পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে বিচারককে জোরপূর্বক রায় দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) এ নেতাকে শাস্তি দেয়া হবে তা আগেই নির্ধারিত ছিল।

শনিবার নওয়াজের শাস্তির নির্দেশ দেয়া বিচারক আরশাদ মালিক ও পিএমএল-এন’র এক সমর্থক নাসির ভাটের মধ্যে কথোপকথনের একটি ভিডিও ফুটেজ তুলে ধরেছেন মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ। সেখানেই বিচারক মালিককে এ রায় দেয়ার জন্য অনুশোচনা করতে দেখা গেছে। খবর ডনের।

এদিন লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভিডিওটি প্রকাশ করেন মরিয়ম। সেখানে পিএমএল-এনের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

মরিয়ম দাবি করেন, বিচারক মালিক তার বাসায় নাসিরকে ডাকেন এবং তার অপরাধবোধের কথা তুলে ধরেন। সেখানেই এ ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। নাসিরকে বিচারক বলেন, নওয়াজের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে তিনি অপরাধবোধে ভুগছেন।

মরিয়মের দাবি, বিচারককে ব্লাকমেইল করে বাবার বিরুদ্ধে রায় দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে এ দাবির স্বপক্ষে নিরপেক্ষ অনুসন্ধান করতে পারেনি ডন।
৬৯ বছর বয়সী নওয়াজ শরিফ আল-আজিজিয়া দুর্নীতি মামলার দায়ে লাহোরের কোট লাখপাত জেলে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছিল। মরিয়মের দাবি, ‘তার বাবা ও পিএমএল-এন দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইমরান খান নেতৃত্বাধীন সরকার।

ইমরান খানই দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’ মরিয়মের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে সরকার। সরকারের মুখপাত্র ফেরদাউস আশিক আওয়ান বলেন, ‘আপনি (মরিয়ম) একজন বিচারকের দিকে আঙুল তুলে দেশের পুরো বিচারব্যবস্থাকে অভিযুক্ত করতে পারেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারকের কথোপকথন এবং বিষয়বস্তুর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ভিডিওটি মিথ্যা নাকি ধোঁকা? তদন্তের পরই তা খোলাসা হবে। জনগণের কাছ থেকে আমরা কোনো কিছুই গোপন করব না।’

এর আগে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, পাকিস্তান মিসর না, তাই নওয়াজকে তিনি মোহাম্মদ মুরসির পরিণতি বরণ করতে দেবেন না।

প্রয়াত মুরসির প্রসঙ্গ টেনে গত ২৩ জুন মরিয়ম বলেন, নওয়াজ শরিফের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। এ সপ্তাহে তার হার্টঅ্যাটাক হয়েছিল। তার কোনো চিকিৎসাও করা হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, তার বাবার চিকিৎসায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না ডাক্তাররা।