গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হলো।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে চারজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ মুহূর্তে তাদের কারও নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে কারখানার ব্যাক প্রসেসিং ইউনিটে অগুনের সূত্রপাত এবং পরে তা বিভিন্ন ইউনিটে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে রাত ১টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন নেভাতে গিয়ে ওই কারখানার নিরাপত্তাকর্মী রাসেল (৪৫) নিহত হয়েছেন। নিহত রাসেল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার উলুন গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, পুড়ে যাওয়া কারখানায় ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে চারজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ মুহূর্তে তাদের কারও নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীনুর ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পরিচালক শিল্প পুলিশ গাজীপুরের প্রতিনিধি (উপপরিচালক পদমর্যাদার), জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গাজীপুরের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শক এবং গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের
উপসহকারী পরিচালক। তাদের আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার আগুন নেভাতে গিয়ে ওই কারখানার নিরাপত্তাকর্মী রাসেল (৪৫) নিহত হয়েছেন। নিহত রাসেল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার উলুন গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদ হাসান জানান, তাকে মৃতাবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পোড়ার দাগ রয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে কারখানার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তখন থেকে কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়। খবর পেয়ে গাজীপুর শ্রীপুর ও ভালুকার সাতটি ইউনিট একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আগুনে গুদামে থাকা তুলা ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, পানি সংকট ও কারখানার অভ্যন্তরীণ রাস্তার সংকীর্ণ হওয়াতে আগুন নেভাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। তবে ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।
সড়কের অপর প্রান্ত থেকে পানি আনার জন্য পানি সরবরাহের পাইপে যেন কোনোরকম বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন জানান, সড়কের অপর প্রান্ত থেকে পানি আনার জন্য পানি সরবরাহের পাইপে যেন কোনোরকম বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ ছিল।