গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবার ১১ বছরের কন্যা শিশুকে
ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামে
বুধবার সন্ধায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শিশুটিকে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসার
জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায়
তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা
হয়েছে।

ভিকটিম শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন (২৬ জুন ) বিকালে মায়ের
জন্য পান সুপারি ও ভেঙ্গে যাওয়া মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করতে বাড়ির
পাশ্ববর্তী তেগাছিয়া বাজারে যায় ওই কন্যা শিশু। সন্ধ্যায় বাজার থেকে
বাসায় ফেরার পথে রমজানপুর গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে শাহীন সরদার (৩০)
শিশুটিকে একা পেয়ে মুখ চেপে জোরপূর্বক রাস্তা থেকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে
নিয়ে ধর্ষন করে। এসময় শিশুটির ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শাহীন
পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়
স্থানীয়রা। কিন্তু তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে রাত দেড়টার দিকে তাকে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, ঘটনার রাতেই স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি এ ঘটনার সালিশ
বৈঠকের আশ্বাস দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিশোরীর
অবস্থার অবনতি হলে গ্রামবাসীর সহায়তায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয।
বর্তমানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানায় সূত্রটি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন জানান, ’এ ঘটনার সাথে আমার ফুফাতো
ভাই শাহীন জড়িত এ কথা বলছে নির্যাতনের শিকার শিশুটি। ঘটনা সত্য হলে তার
দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি কামনা করি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা: কামরুজ্জামান জানান, ’শিশুটিকে
নিয়ে আসার পর প্রচুর রক্তক্ষরন হচ্ছিল এবং ওর ইনজুরি ছিল। আমরা প্রাথমিক
চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত পটুয়াখালী প্রেরন করি।’
মহিপুর থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম জানান, ’বিষয়টি জেনে পুলিশ ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেছে। ভিকটিম শিশটির চিকিৎসা সহ ডাক্তারী পরীক্ষার উদ্দোগ নেয়া
হয়েছে। অভিযুক্ত শাহীন ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে মহিপুর থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
এর আগে কলাপাড়ার ধূলাসারে এক গৃহবধূকে গনধর্ষন, চাকামইয়ায় এক নববধূকে
ধর্ষন এবং টিয়াখালীর এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে
কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলে ধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইনে মামলা হলেও পুলিশের তদন্ত নিয়ে উৎকন্ঠা রয়েছে ভিকটিম
পরিবারের।