‌দর্পণ ডেস্ক : অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার ৩২ ঘন্টা পর অপহৃত রুবেল মিয়াকে গাজীপুর চান্দিনা চৌরাস্তা থেকে উদ্ধার এবং অপহরণের সাথে জড়িত অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে নেত্রকোনা পুলিশ।
নেত্রকোনার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম বুধবার বেলা ২টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল্লাহর পুত্র রুবেল মিয়া সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ঢাকার একটি ট্রেনিং সেন্টারে সিলিং বোর্ড তৈরির তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। ঈদের ছুটি শেষে গত রবিবার বিকালে সে বাসযোগে ঢাকায় ফিরছিল। বাসের মধ্যেই অপহরণ চক্রের দুই মেয়ে তার সাথে পরিচয় হয়। তারা তাকে ভাইয়ের মতো দেখতে বলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। বাসটি সন্ধ্যায় গাজীপুর চান্দিনা চৌরাস্তায় পৌঁছলে দুটি মেয়ে রুবেলকে তাদের বাসায় থেকে পরদিন ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে তাকে বাস থেকে নামিয়ে একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে রুবেলকে নিয়ে গিয়ে আটকিয়ে মারধর করে তার বাবার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা চাওয়ায় রুবেলের অসহায় পিতা আব্দুল্লাহ সোমবার সকালে নেত্রকোনা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশের একটি টিম মুক্তিপণের টাকা নিয়ে গত মঙ্গলবার চান্দিনা চৌরাস্তায় পৌঁছে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য পাবেল ও অপুকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ছয়আনী নামাপাড়া গ্রামের মৃত সফির উদ্দিনের পুত্র পাবেল মিয়া (২৫) ও পাগলা উপজেলার ডিক্রীভূমি গ্রামের মৃত বুলবুল শেখের পুত্র সুজন উদ্দিন অপু(২৫)। পরে তাদের দেখানো মতো চৌরাস্তা ঈদগাহ্ মাঠের পাশে একটি বাসা থেকে রাত তিনটার দিকে অপহৃত রুবেল মিয়াকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত দুই মেয়ে পালিয়ে যায়।
নেত্রকোনার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি শাহ্ নূর-এ-আলম জানান, এ ব্যাপারে অপহরণ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।