দর্পণ ডেস্ক : সাধারণত বর সেজেগুজে কনের বাড়ি আসে বিয়ে করতে।কিন্তু গুজরাটের তিন আদিবাসী গ্রাম সুরখেদা, সানাদা আর আম্বালে নিজের বিয়েতে নিজেই অনুপস্থিত থাকেন বর! বিয়ের আসরে উপস্থিত বরের বোন বা অবিবাহিত যেকোনও মহিলাকেই বর হিসেবে গ্রহণ করে তাকে বিয়ে করেন কনে।এমন ঘটনা কোনোদিন দেখেছেন না শুনেছেন!
এ সময় এই তিন গ্রামের তিন দেবতাই ছিলেন অবিবাহিত। তাদের সম্মান দেখাতেই বরকে নিজের বিয়েতে যেতে দেন না গ্রামবাসীরা। বরের বরের সাজে নিজের ঘরেই রাখা হয় তাকে।
বিয়ের দিন কিন্তু পাত্র বরের সাজেই সাজেন। মাথায় বাঁধেন সাফা। পরনে শেরওয়ানি। রীতি মেনে তলোয়ারও থাকে তার হাতে। কিন্তু সাজগোজই সার। বরের সাজে গ্রামের পুরনো ঐতিহ্য মেনে ঘরবন্দি তিনি।
শুধু কি তাই? লক্ষ্মী ছেলের মতো মায়ের কাছে বসে থাকতে হয় তাকে। তার বদলে বারাত বা বরযাত্রী নিয়ে যান তার বোন। বা তার বাড়ির যেকোনও অবিবাহিত মহিলা। তিনিই বরের প্রতিনিধি হয়ে বিয়ে করে ঘযরে নিয়ে আসেন নতুন বউকে!
এতটা পড়ে আপনাার চোখ কপালে উঠলেও সুরখেদা গ্রামের বাসিন্দারা কিন্তু হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন এই ব্যবস্থা। এই গ্রামেরই বাসিন্দা কাঞ্জিভাই রাঠওয়ার যুক্তি, এই প্রথা আমাদের গ্রামের অনেক পুরনো প্রথা। রীতি মেনে বরের বোন নববধূকে নিয়ে সাতপাঁক ঘোরেন।
গ্রামের মুখিয়া রামসিং ভাই রাঠোয়ার কথায়, প্রাচীন কাল থেকে আমাদের এই তিন গ্রামে চলে আসছে এই রীতি। যখনই এই রীতি কেউ ভাঙতে গেছেন চরম ক্ষতি হয়েছে তার। তাই ভয়ে এই রীতি ভাঙার চেষ্টাই আর কেউ করেন না।
তিনি আরও জানান, অনেক বারই এই নিয়ম মানতে মানতে বিরক্ত হয়েছেন অনেকে। জোর করে নতুন নিয়ম চালু করতে গেছেন তারা। ফল কিন্তু খুব খারাপ হয়েছে। পুরনো নিয়ম না মানায় হয় তাদের বিয়ে ভেঙে গেছে। নয়তো অন্য কোনও বিপদ এসেছে তাদের জীবনে।