দর্পণ ডেস্ক : নির্বাচনী সাফল্যের পর রবিবার আমেদাবাদের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করতে হবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের চাহিদা পূরণ করতে হবে আমাদের। আগামী পাঁচ বছর ‘জন ভাগিদারী এবং জনচেতনা’ এই দুটি বিষয়কে সামনে রেখেই পরিচালিত হবে তার সরকার। মানে সকলকে নিয়ে এবং সকলকে সচেতন করেই এগোতে চান প্রধানমন্ত্রী। আমেদাবাদের সভা থেকেই সুরাটের অগ্নিকাণ্ড (Surat Fire) নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। দুদিন আগে সুরাটে আগুন লেগে ২২ স্কুলপড়ুয়া মৃত্যু হয় সেই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন মোদি।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার ঘটনাকে দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া হিসেবেই দেখছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বার শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রথম কোনও অ-গান্ধী এবং অ-কংগ্রেসি নেতা প্রথমবার নিজের মেয়াদ শেষ করে দ্বিতীয়বার সরকার গড়তে চলেছেন।

সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাটের মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা আমার কাছে সব সময় বিশেষ। আমি এবারও এখানে দর্শন করতে এসেছি। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলার সময় একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে এবার দেশে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হাওয়া বইছে। প্রতিবার নির্বাচনের সময় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায় কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন তার সরকারের কাজ দেখে মানুষ প্রতিষ্ঠান পক্ষেই থাকতে চাইছেন।

শেষমেশ  ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন আসন সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যাবে। সেটাই ঠিক বলে প্রমাণিত হয়। এদিন সে কথা তুলে মোদী বলেন, আমি যখন বলেছিলাম ৩০০ আসন পাব সে সময় অনেকেরই তা বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু ফলাফলেই  সব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

আমেদাবাদে জনসভা করার আগে গান্ধীনগরের বাড়ি গিয়ে মা হীরাবেনের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। আগেই এই বিষয়টি টুইটারে জানিয়েছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে একটি সাক্ষাৎকার দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সেই সাক্ষাৎকারে মোদি জানান কেন তিনি তার মায়ের সঙ্গে থাকেন না।