দর্পণ ডেস্ক : শনিবার রাতেএক প্রাক্তন গ্রামপ্রধানকে  গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের আমেথিতে বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানির প্রচারের কাজে সহায়তা করা ওই বিজেপি কর্মীর নাম সুরেন্দ্র সিংহ। তাঁর নিজের বাড়িতেই আক্রমণ চালায় আততায়ীরা। পরে লখনউয়ের এক হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খুনের উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। আমেথির পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, ‘রাত ৩টার সময় তাকে গুলি করা হয়। কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। খুনের পিছনে কোনো পুরনো ঝগড়া বা রাজনৈতিক কলহ থাকতে পারে।’

বারাউলিয়া গ্রামের প্রাক্তন গ্রামপ্রধান ছিলেন সুরেন্দ্র সিংহ। ২০১৫ সালে গ্রামীন উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটি কেন্দ্রীয় যোজনা ‘সংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’র অংশ হিসেবে সেটিকে গ্রহণ করেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকার। সুরেন্দ্র গ্রামপ্রধানের পদ থেকে সরে এসে বিজেপির নির্বাচন প্রচারে অংশ নেন।

তিনি সক্রিয়ভাবে স্মৃতি ইরানির লেকসভা প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। বিজেপি নেত্রী জনসভায় তার প্রশংসাও করেন। স্মৃতি ইরানি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ৫৫ হাজার ভোটে হারিয়ে দেন আমেথিতে। আমেথি, যা গান্ধীদের পারিবারিক ঘাঁটি বলে পরিচিত, সেখানেও এবার কংগ্রেস হেরে গিয়েছে।  গত প্রায় তিন দশকে আমেথিতে হারেনি কংগ্রেস। নির্বাচনে তাদের দেশব্যাপী ব্যর্থতার মধ্যে এই হার আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

এবারের ল‌োকসভা নির্বাচনে বিজেপির দারুণ সাফল্যের বিপ্রতীপে ৫৪২টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫২টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। গত নির্বাচনে দল ৪৪টি আসনে জয়লাভ করেছিল, যা তাদের সর্বকালের সর্বনিম্ন। সেই সময় সোনিয়া গান্ধী ছিলেন সভাপতি ও রাহুল গান্ধী ছিলেন সহ সভাপতি। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তারা পদত্যাগও করতে চেয়েছিলেন। এবারের ফলাফলে সংখ্যায় সামান্য উন্নতি হলেও সামগ্রিক ছবিটা অত্যন্ত হতাশার। এগজিট পোল জানিয়েছিল, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৫৪৩ লোকসভার আসনের মধ্যে ৩০০-রও বেশি আসন নিয়ে জয়ী হবে এবারের নির্বাচনে। বিরোধীরা অবশ্য সেই হিসেব মানতে চায়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এগজিট পোলকেও ছাপিয়ে যায় বিজেপির আসনসংখ্যা।