গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবার দশম শ্রেনীর ছাত্রী
ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কুয়াকাটা সমুদ্র রিসোর্ট আবাসিক হোটেলে গত ৮ মে
বিকেল থেকে ১২ মে পর্যন্ত আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় ভিকটিমকে।
এ ঘটনায় ১৫ মে বুধবার ভিকটিমের ভাই মো. নাঈম ইসলাম কলাপাড়া থানায় নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষণের বিষয়টি
প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত প্রাধান আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার
করতে না পারলেও সহযোগী মিলনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ
করেছে।
ভিকটিম পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মে দশম শ্রেনীর ওই ছাত্রী
টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া তার নিজ বাসা থেকে শহরে আসছিল। বিকেল তিনটার
সময় আপন দুলাভাই সলেমান হাওলাদার তাকে জোর করে হোন্ডায় তুলে নিয়ে যায়।
তখন তার সাথে সহযোগী ছিল কয়েক জন।
এরপর কুয়াকাটা সমুদ্র রিসোর্ট আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে ৮ মে থেকে ১২ মে পযর্ন্ত একাধিকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। অভিযুক্ত প্রধান আসামী সলেমান হাওলাদার উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ।
১৫ মে বুধবার হোটেল থেকে ওই ছাত্রী পালিয়ে এসে তার বাবা-মা’র সাথে সব ঘটনা খুলে বলার পর রাতে কলাপাড়া থানায় দুলাভাই সলেমান হাওলাদার ও তার সহযোগী মো. মিলনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মূল আসামি সলেমানকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।