দর্পণ ডেস্ক : ২০১৯ সাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে নারী ক্রিকেটে। এপ্রিলের শেষ দিকে প্রথম কোনো নারী আম্পায়ার হিসেবে পুরুষদের ম্যাচে দাঁড়িয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্লেয়ার পোলোস্যাক। মঙ্গলবার নারী ক্রিকেট আরেকটি বড় পদক্ষেপ নিল উন্নয়নের পথে। আইসিসির প্রথম নারী ম্যাচ রেফারি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ভারতের জিএস লক্ষী। ৫১ বছর বয়সী এই ম্যাচ অফিশিয়াল এখন থেকে আইসিসির যেকোনো ম্যাচে ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। আইসিসির আম্পায়ার ও রেফারি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আদ্রিয়ান গ্রিফিথ জানিয়েছেন, ‘আমাদের ম্যাচ অফিশিয়ালদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে বদ্ধ পরিকর, তবে সব নিয়োগই মেধার ভিত্তিতেই দেয়া হচ্ছে।’
২০০৮-০৯ সালে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন লক্ষী। এ নিয়ে তিনটি নারী আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দায়িত্ব পালন করেছেন লক্ষী। আইসিসির প্যানেলভুক্ত ম্যাচ রেফারি হওয়ার পর লক্ষী জানিয়েছেন, ‘আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে নির্বাচিত হতে পারা আমার জন্য অনেক গৌরবের, কারণ এটা আরও অনেক সুযোগ সৃষ্টি করবে। ভারতে ক্রিকেটার হিসেবে অনেক লম্বা সময় পার করেছি, ম্যাচ আম্পায়ার হিসেবেও অনেক দিন কাজ করেছি। আশা করি একজন খেলোয়াড় ও ম্যাচ অফিশিয়াল হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারব।’ শীর্ষ পর্যায়ে আসার পথটা সহজ ছিল না। আজ তাই সুযোগ পেয়ে এ যাত্রার সঙ্গীদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি লক্ষী, ‘এ সুযোগে আমি এত বছর ধরে আমাকে সমর্থন করার জন্য আইসিসি, বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তা, ক্রিকেট অঙ্গনে আমার সিনিয়র, আমার পরিবার ও সহকর্মীদের ধন্যবাদ দিতে চাই। আশা করি আমার সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়ে তাদের সবার আশা পূরণ করতে পারব।’
এদিন অস্ট্রেলিয়ান এলোইস শেরিডানকেও মঙ্গলবার আইসিসির আম্পায়ারদের ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে ডেকে আনা হয়েছে। ২০১৮/১৯ বিগ ব্যাশে দুই ম্যাচে রিজার্ভ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই আম্পায়ার প্যানেলের অষ্টম সদস্য।