গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এক কিশোরী তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন।
একই সময়ে ওই মেয়েটি স্থানীয় এক তরুণের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের মামলা করেছেন।
গত শুক্রবার (৩ মে) সাদুল্লাপুর থানায় এ দুই মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন সাদুল্লাপুরের ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও টিয়াগাছা গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী ওরফে চেংটু মেম্বর (৫০) এবং দক্ষিণ সনতলা গ্রামের আবুল হোসনের ছেলে মাসুদ মিয়া (১৮)।
সাদুল্লাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইদ্রিস আলী ওরফে চেংটু মেম্বর ২০১৮ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে ২য় বিয়ে করেন। ওই নারী প্রথমপক্ষের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকেসহ ইদ্রিস আলীর বাড়ি আসেন।
মামলার বরাত দিয়ে পরিদর্শক মোস্তাফিজুর বলেন, ইদ্রিস আলী বিভিন্ন প্রলোভন, হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে ইদ্রিস তাকে ওষুদ খাইয়ে গর্ভাপাত করেন। এরপর ওই কিশোরীকে আবার ধর্ষণ করেন এবং আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই কিশোরীর নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ সনতলা গ্রামে। সেখানে যাতায়াতকালে ওই গ্রামের মাসুদ মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে অন্তরঙ্গ মেলামেশা হয়।
“তাদের শারীরিক সম্পর্কের বিষয় ইদ্রিস জানতে পারলে গত শুক্রবার (৩ মে) তিনি ওই কিশোরীকে নিয়ে সাদুল্লাপুর থানায় যান এবং মাসুদ বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করান।”
এ সময় সাদুল্লাপুর থানার ওসি মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে ইদ্রিসের ধর্ষণের বিষয় প্রকাশ করে মেয়েটি, বলেন মোস্তাফিজুর।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি আরশেদুল হক বলেন, তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দুটি মামলার পর তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষার পর তাকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।