দর্পণ ডেস্ক : ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ’র নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়াকে ‘মান-অভিমান’ অভিহিত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ (বুধবার) রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “চলমান রাজনীতির দুঃসময় চলছে, এই দুঃসময়ে জোটের অন্তর্ভুক্ত অনেকের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে। সেটার নিরসন হয়ে যাবে। বিশেষ করে বড় দল বিএনপি এবং জোটের আরও যারা নেতৃবৃন্দ আছেন সবার পদক্ষেপে এগুলো থাকবে না। অচিরেই এই মান-অভিমান সেরে যাবে।”

গত সোমবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।

জোট ত্যাগের কারণ ব্যাখ্যায় বিজেপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসনের ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২০ দলীয় জোটের সবার সম্মতিক্রমে এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের দুজন এবং বিএনপির চারজন (পাঁচজন হবে) সংসদ সদস্য শপথ নেওয়ায় দেশবাসীর মতো বিজেপিও অবাক ও হতবাক। শপথ নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপি ছাড়া ২০ দলের অন্য কোনো দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিজেপি মনে করে, এই শপথের মাধ্যমে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসনের নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এমতাবস্থায় ২০ দলীয় জোটের বিদ্যমান রাজনীতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিজেপি ২০ দলীয় জোটের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসছে।”

তবে জোটের ঐক্য সুদৃঢ় আছে মন্তব্য করে আজকের সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “আমরা ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে যে কর্মসূচি করে বিভিন্ন পর্যায়ে করে যাচ্ছি সেটা অব্যাহত থাকবে- এ ব্যাপারে আপনারা নিসন্দেহ থাকতে পারেন।”

তিনি বলেন, “সরকারের নানা ধরনের ইয়ে থাকতে পারে, খেলাধুলো থাকতে পারে। কিন্তু যারা দীর্ঘদিন এই দশ বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, গণতন্ত্রের সাথে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে মিছিল করেছেন তাদের মধ্যে ভাঙ্গন আসবে না। যত নিষ্ঠুর নির্বাচন হবে ততই ঐক্য আরও অটুট হবে, আরও মজবুত হবে, ততই সিমেন্টেড হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপিকা শাহিদা রফিক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন, মাহবুবুল হক নান্নু, খান রবিউল ইসলাম রবি ও শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন উপস্থিত ছিলেন।