দর্পণ ডেস্ক : বিয়ে মেনে নিতে না পারার ক্ষোভ থেকেই মহারাষ্ট্রে মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করলেন বাবা। ভারতে অনার কিলিংয়ের শিকার হলেন রুকমিনি রমা ভারতীয়া নামের এক নারী। বাবা এবং স্বজনরা মিলে ওই নারী এবং তার স্বামীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান রুকমিনি। অপরদিকে তার স্বামীর শরীরের ৪০ শতাংশই আগুনে পুড়ে গেছে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি।
তাদের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি পরিবারের লোকজন। সেই ক্ষোভ থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে অনার কিলিং হিসেবে উল্লেখ করে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার সকালে পুণের একটি হাসপাতালে মারা যান ওই নারী।
গত বছরের নভেম্বরে দুই পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেন রানাসিং এবং রুকমিনি। গত ২৮ এপ্রিল নিগোজ গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রুকমিনি। এরপর গত ১ মে স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে নিতে এসেছিলেন রানাসিং। সে সময় রুকমিনির বাবা এবং চাচারা মিলে তাদের দু’জনকে একটি রুমে আটকে রাখে। এরপর ওই রুমে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে এবং পুলিশে খবর দেয়। তবে এই ঘটনার পেছনে দায়ী ব্যক্তিরা পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পুণের সাসোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রুকমিনিকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার আগে তিনি অভিযুক্তদের নাম বলে গেছেন। এই ঘটনায় সুরেন্দ্রকুমার এবং গানসিয়াম নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।