অনলাইন ডেস্ক : শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরেছেন উপজেলা সমাজসেবায় কর্মরত ইউনিয়ন সমাজকর্মী মো. আশরাফ উদ্দিন (৫২)। অবশেষে পুলিশের সহযোগীতায় বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তারা।
মো. আশরাফ উদ্দিন গত ৮ বছর যাবত ডামুড্যা উপজেলা সমাজসেবায় কর্মরত। আর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রেহানা বেগম ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের ফজল করিম বেপারীর মেয়ে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রেহানা বলেন, আমাকে বিয়ে করবে বলে গত মার্চ মাস থেকে মো. আশরাফ উদ্দিন স্যার প্রতি রাতেই আমার কাছে আসতেন। গত ১৯ এপ্রিল রাতে স্থানীয়রা আমাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন। পরে আশরাফ আমাকে বিয়ে করেছেন। এখন আমি তার সঙ্গে সুখে-শান্তিতে সংসার করতে চাই।
পুলিশ জানায়, হতদরিদ্র পরিবারের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রেহানাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত মার্চ মাস থেকে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন আশরাফ উদ্দিন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন অনেকবার আশরাফকে ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছের। অবশেষে গত ১৯ এপ্রিল রাতে স্থানীয়রা আশরাফকে রেহানার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন। এ সময় রেহানাকে দেড় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং বিয়ের আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা তাকে ছেড়ে দেন। পরে বুধবার রাতে দুই পরিবারের সম্মতিতে ডামুড্যা থানায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রেহানার সঙ্গে আশরাফের বিয়ে হয়।
নওগাঁ এলাকার যুবক তাইজুল ইসলাম স্বপন বলেন, সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার, আমি দোকানে ছিলাম। রাত সোয়া ১১ টার দিকে হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে রেহেনাদের বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি আশরাফকে আটক করা হয়েছে। পরে গতকাল (বুধবার) রাতে তাদের বিয়ে হয়েছে। শুনে ভালো লাগলো।
জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রওশন আরা বেগম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যেহেতু রেহানা ও সমাজকর্মী আশরাফের বিয়ে হয়েছে, তাই আমি চাই ওদের সংসার জীবন সুখী হোক।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. কামাল হোসেন বলেন, সমাজকর্মী আশরাফ উদ্দিনের ঘটনাটি আমি লোক মুখে শুনেছি। আমার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী রেহানার সঙ্গে আশরাফ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরেন। স্থানীয়রা বিষয়টি জানালে আশরাফ ও রেহানাসহ তাদের পরিবারকে থানায় ডাকা হয়। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে বুধবার রাত ১১ টার দিকে আশরাফ ও রেহানার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।