রংপুরের মিঠাপুকুরে দুই আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি ও মূলহোতা রতন মিনজিকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর আরেক আসামিসহ রতন মিঞ্জিকে নেওয়া হয় রংপুরে র‍্যাবের কার্যালয়ে। সেখানে র‍্যাব ও পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন রতন।

গতকাল শুক্রবার সকালে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরেন র‍্যাব-১৩’র অধিনায়ক মোজ্জাম্মেল হক।

মোজ্জাম্মেল হক জানান, রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার ঢোলভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা রতন মিনজির সঙ্গে নিহত স্বপ্নার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাত্র দুই হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি প্রেমিকা ও তার বোনকে ধর্ষণের জন্য বন্ধুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

আর এই প্রতারণা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন স্বপ্না টপ্পা। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীদের হত্যার হুমকি দেন রতন ও তার সঙ্গী মামুন।

রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসামি মামুনকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও একই তথ্য দেন তিনি।

রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার ঢোলভাঙ্গা গ্রামের বুধুয়া মিনজির ছেলে রতন মিনজির সঙ্গে স্বপ্নার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১৮ এপ্রিল মোবাইল ফোন করে তাকে দেখা করতে ডাকে রতন। বিকেলে চাচাতো বোনকে নিয়ে

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যায় স্বপ্না। সেখানে রতন ও তার তিন বন্ধু মিলে একটি নির্জনস্থানে নিয়ে স্বপ্না এবং চাচাতো বোনকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরদিন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় স্বপ্না ও তার বোন বাড়ি ফিরে। বিকেল ৫টায় স্বপ্না ঘরের তীরের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে স্বপ্না।