প্রতীকী ছবি

গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবার গনধর্ষনের শিকার হয়েছে এক নববধূ। বুধবার রাত সাড়ে আটটায় উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ শংকাজনক অবস্থায় ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভিকটিম নববধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী সুজন হাওলাদার বাদী হয়ে ধর্ষক রাসেল, রফিক, খালেক এবং জাফরের নামে কলাপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।

মামলার বাদী ও ভিকটিম নববধূর স্বামী বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চাওলালোদা গ্রামের সুজন হাওলাদার ও ভিকটিমের খালা রহিমা বেগম জানান,
বুধবার আমতলী থেকে উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামে খালু শ্বশুড় বশার খানের বাড়ীতে নববধূকে নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। ওইদিন সন্ধ্যায় নিশানবাড়িয়া গ্রামের হাকিম ফকিরের বখাটে পুত্র রফিক, দেলোয়ারের পুত্র রাসেল, মৌলভীর তবক গ্রামের এছাহাক হাওলাদারের পুত্র খালেক হাওলাদার এবং পার্শ্ববর্তী আমতলী পৌরসভার খোন্তাকাটা এলাকার মন্নান গাজীর বখাটে পুত্র জাফর ওই বাড়ীতে জোড় করে প্রবেশ করে ওই দম্পত্তির বিয়ে হয়নি এমন দাবী করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। এতে তারা প্রতিবাদ করায় তাদেরকে মারধর শেষে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ভীতি প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে নববধূর সাথে কথা বলার অজুহাতে তার মুখ চেপে ধরে ঘরের পার্শ্ববর্তী মাঠের মধ্যে নিয়ে রফিক সহ চার বখাটে তাকে ধর্ষন করে। এসময় ভিকটিম নববধূ ও পরিবারের
সদস্যদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।

ধর্ষিতা ওই নববধূ কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, ওদের হাত-পা ধরে অনেক আকুতি মিনতি করলেও ওরা আমাকে ছাড়েনি।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো
হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। প্রসংগত; এর আগে ১৫ এপ্রিল সোমবার মধ্য রাতে উপজেলার ধূলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী গ্রামের সন্ত্রাসী শাহ আলম, শাহিন, রবিউল, আল-আমিন, আ: রশিদও শাকিল মৃধা সহ অজ্ঞাত ৭/৮ যুবক ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা অপর এক গৃহবধূর
স্বামী সহ পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।