গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ ধর্ষন ও
ডাকাতি মামলার গ্রেফতারকৃত দুই আসামীর পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন
আদালত। বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত)
মো: মাহবুব’র ৫দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানীতে সন্তুষ্ট হয়ে বিজ্ঞ
কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এএইচএম ইমরানুর রহমানের আদালত
আসামীদ্বয়ের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর
করেন।
এর আগে মহিপুর থানা পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত আসামী রবিউল (২৮) ও
ভিকটিমের সনাক্ত মতে সন্দিগ্ধ আসামী মামুন খলিফা (৩০) কে উপজেলার পশ্চিম
চাপলি এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে। এরপর বুধবার দুপুরে
চাঞ্চল্যকর এ গনধর্ষন ও ডাকাতি মামলার মোটিভ এবং পলাতক সহ অজ্ঞাত
আসামীদের গ্রেফতার অভিযান পরিচালনার লক্ষে আসামীদের নিবিড়ভাবে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্তকারী পুলিম
কর্মকর্তা। গ্রেফতারকৃত আসামী মামুন খলিফা গনধর্ষনে জড়িত থাকার কথা
পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, মামলার
তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার
করে আদালতের সন্তুষ্টিতে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা রিমান্ডে নিয়েছেন।
বাদী, ভিকটিম ও রিমান্ডে থাকা দুই আসামীর দেয়া তথ্য যাচাই বাচাই করা
হচ্ছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
ভিকটিমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ১৫ এপ্রিল সোমবার মধ্য রাতে ধূলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী গ্রামের
সন্ত্রাসী শাহ আলম, শাহিন, রবিউল, আল-আমিন, আ: রশিদ ও শাকিল মৃধা সহ
অজ্ঞাত ৭/৮ যুবক বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূর স্বামী সহ পরিবারের সদস্যদের
অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর প্রথমে ঘরে আটকে এবং পরে একটি মাছের
ঘেরের ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে রাতভর জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে কলাপাড়া
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল এর প্রোগ্রাম
অফিসার মো. ইদ্রিস আলম মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে
আইনি সহায়তার জন্য ভিকটিমকে পাঠালেও মহিপুর থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ
নেয়নি। এ ঘটনায় ১৭এপ্রিল বুধবার ওই গৃহবধূর স্বামী মো: সিদ্দিক নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গনধষর্নের অভিযোগে মামলা দায়ের করার পর
বিজ্ঞ পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক
নিতাই চন্দ্র সাহা মহিপুর থানা পুলিশকে এজাহার গ্রহনের আদেশ দেন।
গনধর্ষনের এ ঘটনার পর পুলিশের গাফেলতির বিষয়টি গনমাধ্যমে প্রকাশ পেলে নড়ে
চড়ে বসে মহিপুর থানা পুলিশ।