গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকিতে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন  ঘটনার প্রধান আসামী জলিশা গ্রামের আবুল হক চৌকিদারের ছেলে লম্পট সোহেলকে
রবিবার দুমকী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করার পর আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেন। এর আগে ভিকটিমের মা শনিবার অভিযোগ দিতে থানায় এসে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষার পর নানা নাটকীয়তা শেষে গনমাধ্যম কর্মীদের হস্তক্ষেপে রাতে তিন জনের নামে
মামলা নেয় পুলিশ। এরপর উপজেলার জলিশা গ্রামের একটি আড্ডাস্থল থেকে মামলার প্রধান আসামী সোহেলকে রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ।

নির্যাতিতার মা জানান, শনিবার থানায় এসে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষার পর রাতে মামলা নেয় পুলিশ। আসামী সোহেল তার অষ্টম শ্রেনীতে পড়–য়া মেয়েকে বরিশাল
নিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত করালে তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপরও পুলিশ তার অসুস্থ্য মেয়ের ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষা সহ চিকিৎসার বিষয়ে
কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় রবিবার বিকেলে আদালতে ২২ ধারায় জাবনবন্দি প্রদান শেষে তারা নিজেদের উদ্দোগে বরিশালে তার মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন ঘটনার আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ আলামত সংগ্রহ সহ ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার উদ্দোগ নেয়নি বলে অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রের। ভিকটিমের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার পরও তাকে হাসপাতালে না নিয়ে রবিবার বিকেলে জবানবন্দি প্রদানে আদালতে উপস্থাপন করে পুলিশ।
দুমকী থানার ওসি মো: মনিরুজ্জামান জানান, অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন ঘটনায় তিন জনের নামে এফআইআর রেকর্ড করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান আসামীকে
গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এসআই রোজাউলকে নিযুক্ত করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার
উদ্দোগ নেয়া হয়েছে বলে দাবী তার।

পটুয়াখালীতে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের শিকার

পটুয়াখালীতে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের শিকার

Posted by Darpan Pratidin on Sunday, 21 April 2019