দর্পণ ডেস্ক : শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে বিভিন্ন জীবাণুর প্রতিনিয়ত সংঘাত হয়ে থাকে। আর এ সংঘাতের ফলে সংক্রমণের মতো ঘটনাও ঘটে থাকে প্রতিনিয়ত।
এ ধরনের সংক্রমণে অসুস্থতার আশঙ্কাও থেকে থাকে। আর এ বিষয়টি প্রতিরোধে খাবারের ভূমিকা রয়েছে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো কিছু খাবারের কথা, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
১. কমলার জুস
কমলাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। বিভিন্ন গবেষণাতেও কমলার এ গুণের কথা জানা গেছে। এক্ষেত্রে গবেষকরা বলছেন, বাজার থেকে কেনা প্যাকেটজাত কমলার রস নয় বরং বাড়িতেই বানিয়ে নিন কমলার রস। এটি যেমন পুষ্টিকর তেমন উপকারি।
২. ভার্জিন অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের রয়েছে প্রচুর গুণ। আর এ অলিভ অয়েল ব্যবহৃত হয় মেডিটেরিয়ান ডায়েটে। সাধারণ অলিভ অয়েলের তুলনায় ভার্জিন অলিভ অয়েল কিছুটা আলাদা। তবে বাজারে একটু খোঁজ করলেই আপনি তা পেয়ে যাবেন। সাধারণত অল্প তাপের রান্নায় এর গুণ বজায় থাকে। ভাজা কিংবা এ ধরনের উচ্চতাপের রান্নায় অলিভ অয়েল গুণাগুণ হারাতে পারে।
৩. হোল গ্রেইন
ধবধবে সাদা আটার বদলে খান কিছুটা দানাদার লাল আটা। আর সাদা ব্রেডের বদলে বাদামি ব্রেড খান। পরিশোধিত আটা-ময়দায় বহু পুষ্টিগুণ থাকে না। এছাড়া আঁশযুক্ত খাবারও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৪. ফুলকপি বা এ ধরনের সবজি
ব্রকলি, ফুলকপি এবং ব্রাসেলস স্প্রাউট বা এ ধরনের সবজি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই কার্যকর। এগুলো সংক্রমণ প্রতিরোধেও কার্যকর বলে মনে করছেন গবেষকরা।
৫. টমেটো
টমেটোর রয়েছে লাইকোপেন নামে একটি উপাদান। এটি একটি উদ্ভিজ্জ কম্পাউন্ড, যা শুধু লাল রঙের জন্যিই দায়ী নয় এর বহু গুণ রয়েছে। বিশেষত দেহের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য এ উপাদানটি অত্যন্ত কার্যকর। টমেটো সস, টমেটো সুপ ও অন্যান্য উপায়ে এটি খাওয়া যেতে পারে। ২০১৩ সালের গবেষণায় টমেটোর এ গুণের বিষয়টি উঠে আসে।