ঢাকার বনানীর এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলামকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাসভিরের বারিধারার বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ডিবি (উত্তর) এডিসি সাজাহান সাজু আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তাসভির উল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। পাশাপাশি তিনি কাশেম ড্রাইসেলস কোম্পানি লিমিডেট নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা। ২০০১-২০০৬ সালের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি ওই ১৮ তলা ভবনটিকে ২৩ তলায় উন্নীত করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছে।

রাজউক সূত্র জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভবনটির ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ন গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। পরে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়। ডেভেলপার কোম্পানি ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম। এরপর তিনি নকশা পরিবর্তন করে ছাদের ওপর আরও দুটি ফ্লোর নির্মাণ করেন।

রাজউক সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে তৎকালীন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের সঙ্গে তাসভিরের ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই সুবাদে ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করলেও রাজউক কোনও বাধা দেয়নি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২১ তলাবিশিষ্ট বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৯ তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারের কাজ করে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত অনেক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ৭টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন মারা যান।