গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দু’একদিন পূর্বে ক্রমশ: উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। নির্বাচনী এলাকার ৭৪টি ভোট কেন্দ্রই ঝূঁকিপূর্ন মনে করছেন নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ন প্রার্থী সহ তাদের কর্মী সমর্থকরা। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রেসক্লাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী কেন্দ্র দখলের আশংকা, ভোটারদের হুমকি, ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা প্রদান ও খুন জখমের আশংকা করে পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিপন্থী এসব বে-আইনী কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস.এম রাকিবুল আহসানের সাথে কঠিন ভোট যুদ্ধে অবতীর্ন হবে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ আখতারুজ্জমান কোক্কা। দুই পক্ষের সমর্থকরা কলাপাড়া এবং কুয়াকাটা পৌরসভা সহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন চষে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকরা ছোট খাটো সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ছে।
এছাড়া সাবেক এম.পি. মাহবুবুর রহমান তালুকদারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও দলের সম্পাদক নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস.এম রাকিবুল আহসান। তাই মাহবুবুর রহমান
ও রাকিবুল আহসান দলীয় রাজনীতিতে দীর্ঘ ১০ বছর যাদের কোনঠাসা করে রেখেছেন তাদের সমন্বয়ে নিজ দলের মধ্যেই শক্তিশালী বিরোধী বলয় তৈরি হয়েছিল। এবার প্রতিশোধ নিতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এতে স্বতন্দ্র প্রার্থীর অনেকটা অনূকূলে রয়েছে নির্বাচনী মাঠ। তাই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হলে স্বতন্দ্র প্রার্থীর বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত বলে দাবী করছে ওই সূত্রটি। তবে এখন অপেক্ষা ৩১ মার্চ নির্বাচনের দিন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ হয় এবং নির্বাচন কমিশনের অর্পিত যথাযথ দায়িত্ব পালন করে তবে পাল্টে যেতে পারে সব হিসাব নিকাশ।
এদিকে শেষ মুহুর্তের প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিকুল আলম বাবুল (টিউবওয়েল) ও মহিলা
ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহিনা আকতার সীমা (হাঁস) নাম ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে তৃনমূল এলাকার ভোটারদের মুখে মুখে। শফিকুল আলম বাবুল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে দক্ষতার সাথে উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন এবং শাহিনা আকতার সীমা সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ও সাবেক সাংসদ মো: আনোয়ারুল ইসলামের যোগ্য উত্তরসূরী।ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল আলমের দাবী ভোটারদের মাঝে তার ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বি চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা কামালের অনুসারীরা তার কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনের শেষ মূহূর্তেও হুমকী প্রদান সহ ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছে। এমনকি বালিয়াতলি খেয়াঘাট এলাকায় তার কর্মী মাছুমকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেছে মোস্তফা কামালের ছোট ভাই। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা কামাল।