প্রতিকী ছবি
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আপন ভাগ্নিকে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের মামলায় লম্পট খালুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় প্রতারণা ও ধর্ষণের শিকার মেয়েটি নিজেই বাদি হয়ে সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজারহাট থানায় মামলা দায়ের করে। বিকেলে লম্পট খালু হামিদুল ইসলাম দুলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার রতিরাম কমলওঝাঁ গ্রামের জামাল উদ্দিনের পুত্র হামিদুল ইসলাম দুলু (৩৩) একই গ্রামে তার ভাগ্নি ও চাচাতো ভাইয়ের কন্যা (১৮) কে তিন বছর পূর্বে ভাগ্নিকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন এবং তা মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন।
পরবর্তীতে সেই ভিডিও দেখিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে ধর্ষণের গোপণে ধারণ করা ভিডিও ফেসবুক ও ইন্টারনেটে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে নিয়মিত ধর্ষন করতেন।
সম্প্রতি মেয়েটি গর্ভবতী হলে আসামী ওষুধ সেবন করিয়ে মেয়েটির গর্ভপাত ঘটায়। গত ১৫ মার্চ মেয়েটির বিয়ে ঠিক হলে তার লম্পট খালু বিয়েটি ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা চালায়। এরপরও বিয়ে হয়ে যাওয়ায় হামিদুল তার নতুন ভাগ্নি জামাইকে তাদের অবৈধ সম্পর্কের কথা জানিয়ে মেয়েটিকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
পরে এঘটনায় সোমবার দুপুরে মেয়েটি বাদি হয়ে রাজারহাট থানায় উপস্থিত হয়ে তার খালু ও বাবার নিজের চাচাতো ভাই চাচা হামিদুল ইসলাম দুলুর বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ও দন্ড বিধি ৩১৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর সোমবার বিকেলেই পুলিশ লম্পট খালু হামিদুল ইসলাম দুলুকে গ্রেফতার করে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে দুলু ওষুধ খাইয়ে মেয়েটির গর্ভপাত ঘটান। পরে গত ১৫ মার্চ ওই কিশোরীর বিয়ে ঠিক হলে দুলু বিয়েটি ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরও বিয়ে হলে তিনি ওই কিশোরীর স্বামীকে তাদের সম্পর্কের কথা জানিয়ে মেয়েটিকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
ওসি কৃষ্ণ কুমার সরকার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় অভিযুক্ত দুলু অভিযোগ স্বীকার করেছে। তাকে আগামীকাল আদালতে হাজির করানো হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনে অভিযুক্ত আসামিকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করতে পারেন বলেও জানান ওসি।