নিজস্ব প্রতিবেদক: বুড়িগঙ্গা নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদী এবং সারা দেশের নদী বাঁচাতে চলমান উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। নদীকে ভালবাসতে হবে। নদীকে বাঁচাতে হবে। নদী না বাঁচলে আমরাও বাঁচবো না। আন্তর্জাতিক পানি দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে দৈনিক জনতা ও বার্তা সংস্থা পিএনএস আয়োজিত ‘নদী বাঁচাও-দেশ বাঁচাও- মানুষ বাঁচাও’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন সচিব আব্দুস সামাদ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহন সচিব বলেন, নদী আমাদের প্রাণ, নদী আমাদের মায়ের মতো। নদীকে টিকিয়ে রাখতে না পারলে আমাদের সমাজ, সভ্যতা ও অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। নদীর তীরে শহর গড়ে উঠেছে। নদীর পানি কৃষি, মৎস্য চাষ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সভ্যতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, নদী, নদীর তীরভূমি রক্ষা এবং নদীর গতি প্রবাহ ঠিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যলেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার বাজেটে বরাদ্দ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ি ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যে পানি সম্পদ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী ‘ডেল্টা প্লান-২১০০’ ঘোষণা করেছেন। ডেল্টা প্লান অনুযায়ি নদী, খাল, বিল ও পুকুর খনন করে সেখানে জলাধার সৃষ্টি করতে হবে। জলাধারে বন্যা, বৃষ্টি ও ঝর্ণার পানি সংরক্ষণ করে সেপানি শুষ্ক মৌসুমে কাজে লাগানো হবে।
সিনিয়র সাংবাদিক ও নদী বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন শিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন দৈনিক জনতার প্রকাশক ছৈয়দ আন্ওয়ার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (প্রকৌশল) গোলাম মোস্তফা ও নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বুয়েটের নৌযান ও নৌ-যন্ত্র কৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মীর তারেক আলী, ওয়ারপোর সাবেক মহাপরিচালক ম. ইনামুল হক, বুয়েটের, পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সুজিত কুমার বালা, বিআইডব্লিউটিএ’র চীফ ইঞ্জিনিয়ার (ড্রেজিং) আবদুল মতিন, বিআইডব্লিউটিএ’র অফিসার সমিতির সভাপতি আবদুল আওয়াল, ক্যাপ্টেন শাহ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শাহাবুদ্দিন শিকদারের নির্মিত নদী বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।