দর্পণ ডেস্ক : রাতের পর রাত জেগে একটানা কাজ। ঘুম পেলেও জোর করে জেগে থাকার চেষ্টা। এরই নাম নাইট শিফট। যা আজকাল বেশিরভাগ বেসরকারি অফিসেই প্রচলিত। কিন্তু জানেন কি, দিনের পর দিন নাইট শিফট চলতে থাকলে আপনার শরীর শুধুই দুর্বল হবে না বরং কমবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
সম্প্রতি একটি জার্নালের সমীক্ষা বলছে, লাগাতার রাত জেগে কাজ করলে মানুষের শরীরের ডিএনএ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভেঙে যেতে পারে ডি অক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিডের গঠন। আর তার ফলেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে একের পর এক রোগ।
‘অ্যানাসথেসিয়া অ্যাকাডেমিক জার্নাল’- এর একটি রিপোর্ট বলছে, রাত জেগে কাজ করার পরিমান যত বাড়বে তত বেশি ডিএনএ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। অন্তত শরীরের গঠিত ডিএনএ-র ২৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এর একমাত্র কারণ মানুষের রাত জাগার অভ্যাস এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় ঘুম না দেওয়া।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে ক্যানসার, ডায়বেটিস, হার্টের রোগ সহজেই শরীরে ঢুকে প়ড়বে। পাশপাশি, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সাধারণ রোগ হলেও তা সহজে কমবে না। কারণ, নষ্ট হতে থাকা ডিএনএ মানুষের শরীরের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কেড়ে নেবে।
এই অবস্থায় বেশ কিছু লক্ষণ মানুষের শরীরে দেখা যায়।
ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, নাইট শিফটের ফলে দেহ ঘড়ি পুরোপুরি বিশৃঙ্খল হয়ে যায়। মানবদেহের অভ্যন্তরীণ নানা কাজ দেহের নিজস্ব সময় অনুযায়ী চলে। যেমন, রাত ২টায় মানুষের ঘুম সবচেয়ে গভীর অবস্থায় থাকে। রাত জাগার ফলে দেহের নিজস্ব ঘড়িতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এর ফলে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হতে পারে। তাছাড়া, মানসিক অবসাদও ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।
এ বিষয়ে ডাক্তারদের পরামর্শ হচ্ছে, ঘন ঘন নাইট শিফট শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলির রাশ টানা উচিত। তাই সুস্থ থাকতে রাত জেগে নয়, বরং ভালো করে ঘুমিয়ে, শরীরকে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দিয়ে কাজ করুন।