দর্পণ ডেস্ক :পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামগুলোকে ঢাকার নিকটবর্তী কোনো এক জায়গায় স্থাপিত কেমিক্যাল পল্লীতে ছয় মাসের মধ্যে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আশু করণীয় নির্ধারণে গতকাল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

বৈঠকে ব্যাবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, তারাও তাদের ব্যবসায়ের জন্য নতুন শিল্প এলাকায় সরে যেতে চান।

বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী জানান, রাসায়নিকের গুদাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদের পরিকল্পনা দিয়েছেন, সবার মতামত নেয়া হয়েছে। সবার সুপারিশ প্রতিবেদনের আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এর মধ্যে যেসব সুপারিশ এসেছে তার আলোকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরান ঢাকায় ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ও প্লাস্টিকসহ কোনো কিছুই থাকতে পারবে না।

সরকারী এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান রেডিও তেহরানকে বলেন, এ ব্যাপারে সরকারকে দৃঢ় থাকতে হবে যাতে এ সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে কার্যকর করা যায়।
দোষারোপ করে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই: হাইকোর্ট

ওদিকে, চকবাজারে আগুনে প্রাণহানির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই দায় নিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আদালত বলেছেন, একে অপরকে দোষারোপ করে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।

সোমবার চকবাজারের আগুন নিয়ে আলাদা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। রিটকারীর আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত বলেন, কাউকে না কাউকে এর দায় নিতে হবে, একজন আরেকজনের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে রক্ষা পাওয়া যাবে না। এবং আদালত বলেছে আমাদের অর্থনীতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই ধরনের ঘটনার জন্য আমাদের উন্নতি চাপা পড়ে যাচ্ছে।

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড বৈদ্যুতিক কোনও কারণে হয়নি বলে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি)-এর তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাদের প্রতিবেদনে দুটি সুপারিশ করেছেন। তারা বলেছেন, দ্রুত পুরান ঢাকা হতে ক্ষুদ্রশিল্প, প্লাস্টিক কারখানা ও কেমিক্যালের গুদাম অপসারণ করা প্রয়োজন। অন্যদিকে পুরান ঢাকার রাস্তা খুবই সরু হওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইনগুলো ইনসুলেটেড তার দিয়ে এবং কিছু কিছু স্থানে ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবলের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন।