দর্পণ ডেস্ক : আজ শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামাতের বাৎসরিক মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব । শীত কম, আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস-ট্রাক, ট্রেন ও লঞ্চযোগে দেশ-বিদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ
মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে এসে সমবেত হচ্ছেন। এবার পুরো মাঠকে ৫০ খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। জেলাওয়ারি তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা তাদের খিত্তায় বুধবার থেকে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। গতকাল সারাদিনই দলে দলে মুসল্লিদের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের স্রোত এখন টঙ্গী অভিমুখে। মানুষের এ স্রোত আখেরি মোনাজাতের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। প্রতিবছর ৩ দিন করে দুই দফায় হলেও এবারই ২ দিন করে বিরতিহীনভাবে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
প্রথম পর্বে ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ওলামা-মাশায়েখ তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বি ও কাকরাইল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের আহমেদের অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নেবেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়ে প্রথমপর্বে আগত মুসল্লিরা রাতের মধ্যে ময়দান ত্যাগ করবেন। পরে মাওলানা সা’দ আহমাদ কান্ধলভীপন্থি অনুসারী মুসল্লিরা আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি রোববার বাদ ফজর থেকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নেবেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যাহ্নের পূর্বে যে কোনো এক সময় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে দুই পর্ব ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
এ সমাবেশে আগত মুসল্লিদের জন্য টঙ্গীর তুরাগ তীরে ১৬০ একর খোলা জমিনের ওপর পাটের চট দিয়ে সুবিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। তাবলীগ জামাতের এ মিলন মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও এবারের ইজতেমায় বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১৫-২০ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ৮৫টি দেশের প্রায় ১ হাজার বিদেশি মেহমান ময়দানের তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন বলে বিদেশি নিবাসের জিম্মাদার ও মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন। লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে আজ দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ ইজতেমা ময়দানে।
ইজতেমাকে ঘিরে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
বৃহস্পতিবার সকালে ইজতেমাস্থলের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. ওয়াইএম বেলালুর রহমান জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় প্রচলিত নিরাপত্তার ব্যবস্থার বাইরে ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে কোনো নাশকতা রোধে পুলিশের সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে। র্যাব, মেট্রোপুলিশ, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, শিল্পপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ও সাদা পোশাকে দুই পর্বের ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রায় বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা কর্মী কাজ করবেন।