দর্পণ ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের ট্রাইব্যুনালে মামলা করার বিষয়ে কাদের বলেছেন, মামলা হলে আমরা মোকাবেলা করব। এখন মামলা আর নালিশই তাদের সম্পদ।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, “আমি আগেই বলেছি, একটা রাজনৈতিক দল যখন আন্দোলনে, নির্বাচনে ব্যর্থ হয়। আন্দোলনেও পরাজিত হয়, নির্বাচনেও পরাজিত হয়, তখন তাদের সামনে নালিশ আর মামলা ছাড়া অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার আর কোন পথ খোলা থাকে না। এইসব করে হতাশ কর্মীদের চাঙা রাখাই হলো তাদের উদ্দেশ্য। এছাড়া তো আর কোনো অবলম্বন নাই। আর কোন পুঁজিও নেই। এখন মামলা আর নালিশই তাদের সম্পদ।”
এসময় নির্বাচন নিয়ে গণশুনানির বিষয়ে তিনি বলেন, যে গণশুনানির প্রধান হিসেবে বিচারপতি ড. কামাল হোসেনের নাম আসে তা গণশুনানি নয় গণতামাশা হবে।
ওদিকে, ভিন্ন একটি অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির শীর্ষ নেত্রী আদালত কর্তৃক দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন, তাই দলটির এই দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে কিছু বলার নৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার নেই।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকতে দেশকে দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব পরিমণ্ডলে পরিচিতি দিয়েছিল, ক্ষমতার বাইরে থাকাকালীন সময়েও যারা বারবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে, তারাই নতুন করে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের যদি নির্বাচন নিয়ে কোন অভিযোগ থাকে তবে আইন মোতাবেক নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করুক, আর যদি অভিযোগ করেও থাকে তবে মামলার নিষ্পত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করুক। নির্বাচন নিয়ে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য জাতির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার কোন অধিকার তাদের নেই। দেশের মানুষ তাদের ভাঙ্গা-রেকর্ড আর শুনতে চায় না। তাদের যদি সত্যিকার অর্থেই রাজনীতি করার ইচ্ছে থাকে তবে তাদের আহ্বান জানাচ্ছি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের উন্নয়নে সহায়তা করুক।
এসময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনটি সকল ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণের উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং সাধারণ ছাত্ররা তাদের ভোটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণের জন্য উপযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।