দর্পণ ডেস্ক : লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিসিন ডাক্তার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে একই রোগের জন্য একই রোগীকে দু’রকমের ব্যবস্থাপত্র দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সালাহ উদ্দিন বলেন, সরকারি নিয়মনীতি মেনে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের পর প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখি। এটা কোনো অন্যায় নয়। একই রোগীকে দু’রকমের ব্যবস্থাপত্র দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কিছু বলেননি।
অভিযোগ করে খুরশিদা বেগম জানান, তিনি সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি পেট ব্যথা ও বদহজমের সমস্যা নিয়ে সদর হাসপাতালে ডাক্তার সালাহ উদ্দিনের কাছে যান।
প্রায় ৩ ঘণ্টার মতো লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করে ডাক্তারের চিকিৎসা পান। কিন্তু ডাক্তার ব্যবস্থাপত্রে শুধু একটি ওষুধের নাম লিখে তাকে বিদায় করে দিয়েছেন। এতে মনে সংশয় থাকায় খুরশিদা আবারও প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য যান। ওই ক্লিনিকের নাম নিউ মেডিকমপ্লেক্স। সেখানে গিয়ে ৭০০ টাকা ফি দিয়ে আবারও ডাক্তার সালাহ উদ্দিনের ব্যবস্থাপত্র নেন তিনি। এ ব্যবস্থাপত্রে দেয়া হয় ছয়টি ওষুধ।
জানতে চাইলে রোববার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন মোস্তফা খালেদ আহমেদ বলেন, ঘটনাটি আমি বিভিন্ন ভাবে শুনেছি। তবে এটি চিকিৎসক আর রোগীর ব্যক্তিগত সমস্যা। এটা হাসপাতালের সমস্যা নয়। হাসপাতালের কোনো সমস্যা হলে বিষয়টি আমার এখতিয়ারে ছিল। যেহেতু এটি বাইরের ঘটনা, সেহেতু এ নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।